সরকার আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর : মন্ত্রী সান্ত্বনা
ধর্মনগর (ত্রিপুরা), ১৫ ডিসেম্বর (হি.স.) : সমাজের সবচেয়ে গরিব ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে মূল স্রোতে এনে আত্মনির্ভর করে তোলাই বর্তমান কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের মূল লক্ষ্য। একথা বলেন ত্রিপুরার শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী সান্ত্ব
মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা


ধর্মনগর (ত্রিপুরা), ১৫ ডিসেম্বর (হি.স.) : সমাজের সবচেয়ে গরিব ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে মূল স্রোতে এনে আত্মনির্ভর করে তোলাই বর্তমান কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের মূল লক্ষ্য। একথা বলেন ত্রিপুরার শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা। সোমবার উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগরের মিশনটিলা এলাকায় জেলা শিল্পকেন্দ্র নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের উদ্যোগে মিশনটিলার আইটিআই সংলগ্ন স্থানে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশ আত্মনির্ভর ভারতের পথে এগুচ্ছে এবং রাজ্য সরকার আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। এজন্য দেশীয় পণ্যের ব্যবহার ও উৎপাদনে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি জানান, শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের মাধ্যমে উদ্যোগীদের ভর্তুকিতে ঋণ প্রদান, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং স্বসহায়ক দলগুলিকে আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে রাজ্যে স্বসহায়ক দলের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে এবং প্রায় পাঁচ লক্ষ মহিলা এই দলগুলির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। লক্ষাধিক ‘লাখপতি দিদি’ তৈরি হয়েছে। প্রতিটি স্বসহায়ক দলকে দেশীয় পণ্য উৎপাদনে আরও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ব্যক্তিগত উদ্যোগীরা ঋণ নিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন।

তিনি জানান, আগে রাজ্যের আটটি জেলার মধ্যে মাত্র চারটি জেলায় জেলা শিল্পকেন্দ্র ছিল। বর্তমান সরকার প্রতিটি জেলায় জেলা শিল্পকেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। ধর্মনগরে এই শিল্পকেন্দ্রটি গড়ে উঠলে জেলার বেকার যুবক-যুবতীরা উপকৃত হবে এবং এলাকার সার্বিক উন্নয়ন সাধিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উত্তর ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি অপর্ণা নাথ বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে রাজ্যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এবং এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে।

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক যাদবলাল দেবনাথ, যুবরাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান অপর্ণা সিনহা দেবনাথ, কালাছড়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান টিংকু শর্মা, ধর্মনগরের মহকুমা শাসক দেবযানী চৌধুরী, শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের অতিরিক্ত অধিকর্তা সব্যসাচী দেববর্মা সহ অন্যান্যরা।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande