কাছাড় জেলার অন্তর্গত ভারত–বাংলা সীমান্তে জারি বিএনএসএস-এর ১৬৩ ধারা
শিলচর (অসম), ১৬ ডিসেম্বর (হি.স.) : জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করে কাছাড় জেলা প্রশাসন ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সংবেদনশীল এলাকায় একাধিক প্রতিরোধমূলক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইত্যা
কাছাড় জেলার অন্তর্গত ভারত–বাংলা সীমান্তে জারি বিএনএসএস-এর ১৬৩ ধারা


শিলচর (অসম), ১৬ ডিসেম্বর (হি.স.) : জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করে কাছাড় জেলা প্রশাসন ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সংবেদনশীল এলাকায় একাধিক প্রতিরোধমূলক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইত্যাদির সম্ভাব্য চলাচল ও সীমান্তপারের অননুমোদিত কার্যকলাপ নিয়ে আশঙ্কার প্রেক্ষিতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শিলচরে অবস্থিত বরাক উপত্যকার তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর দিয়ে জানানো হয়েছে, কাছাড়ের ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট মৃদুল যাদব (আইএএস) ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস)-র ১৬৩ ধারায় অর্পিত ক্ষমতা প্রয়োগ করে একতরফা আদেশ জারি করেছেন, যার উদ্দেশ্য ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে মানুষ, পণ্য ও অবৈধ কার্যকলাপ এবং অবৈধ চলাচল প্রতিরোধ করা। প্রশাসনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বিশেষত রাতের বেলায় নিয়ন্ত্রণহীন চলাচল অবৈধ কার্যকলাপকে সহায়তা করতে পারে। এর মধ্যে প্রয়োজনীয় পণ্য ও গবাদি পশুর অননুমোদিত পরিবহণ অন্তর্ভুক্ত, যা আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে গুরুতর চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে কাছাড় জেলার অন্তর্গত ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর এক কিলোমিটার এলাকায় সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত ব্যক্তিগত চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি, ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে বরাক নদীর (সুরমা) জলপথ ও নদীর উঁচু পাড় বরাবর রাত্রিকালীন সময়ে চলাচলও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আদেশে সুরমা নদীতে নৌচলাচল ও মৎস্য আহরণের ওপরও কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। শুধুমাত্র স্থানীয় বাসিন্দাদের ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হবে, তবে তা কাটিগড়ার সার্কল অফিসারের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে এবং লিজের শর্তাবলি মেনে চলার মাধ্যমে। এ ধরনের অনুমতিগুলি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং তার অনুলিপি ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও ধলছড়ায় অবস্থিত সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর ১৭০ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্টকে প্রেরণ করা হবে, যাতে অসামরিক প্রশাসন ও নিরাপত্তা সংস্থার মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত হয়।

অবৈধ বাণিজ্য রোধে আরও এক পদক্ষেপ হিসেবে চিনি, চাল, গম, ভোজ্য তেল, এসকে তেল ও লবণের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের পরিবহণ বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন জেলার অভ্যন্তরে পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় রাত্রিকালীন সময়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রশাসন স্পষ্ট করেছে, কেবলমাত্র খাদ্য ও গণবণ্টন বিভাগের যথাযথ যাচাইয়ের পর এবং নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য, সময় ও স্থানের জন্যই কোনও শিথিলতা দেওয়া হবে, যা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।

তবে সীমান্তবর্তী এলাকায় সরকারি কাজে নিয়োজিত রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের এই আদেশের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে, যাতে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজ নির্বিঘ্নে চলতে পারে।

জনশৃঙ্খলার স্বার্থে জারিকৃত এই নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে এবং পূর্বে প্রত্যাহার বা সংশোধন না করা হলে এটি আগামী দুমাস বলবৎ থাকবে।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande