বুধবার থেকে আন্দোলনের পথে পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বীকৃত আন-এডেড মাদ্রাসা
কলকাতা, ১৬ ডিসেম্বর (হি. স. ) : অনির্দিষ্টকালীন আন্দোলনের পথে নামতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বীকৃত মাদ্রাসা শিক্ষকরা। কলকাতা কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতিক্রমে অনির্দিষ্টকালীন অবস্থান বিক্ষোভ আন্দোলন কর্মসূচিতে বুধবার নামতে চলেছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল রিকগনাই
বুধবার থেকে আন্দোলনের পথে পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বীকৃত আন-এডেড মাদ্রাসা


কলকাতা, ১৬ ডিসেম্বর (হি. স. ) : অনির্দিষ্টকালীন আন্দোলনের পথে নামতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার স্বীকৃত মাদ্রাসা শিক্ষকরা। কলকাতা কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতিক্রমে অনির্দিষ্টকালীন অবস্থান বিক্ষোভ আন্দোলন কর্মসূচিতে বুধবার নামতে চলেছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল রিকগনাইজ আন-এডেড মাদ্রাসা ঐক্য মঞ্চ’। বিক্ষোভ হবে সল্টলেকের সিটি সেন্টার ওয়ানে মেট্রো কারশেডের পাশে।

ওয়েস্ট বেঙ্গল রেকগনাইজ্ড আন এডেড মাদ্রাসা ঐক্য মঞ্চর সহ সভাপতি শেখ জাভেদ মিঁয়াদাদ এই প্রতিবেদককে মঙ্গলবার জানান,

“বিগত ২০১৩ সাল থেকে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক অনুমোদন প্রাপ্ত। দীর্ঘ আট বছর পর ২০২১ সাল সল্টলেক সিটি সেন্টারের সামনে ৪৬ দিন অবস্থান বিক্ষোভ আন্দোলন করেন। এর পর তাঁদের ২৩৫ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম সাম্মানিক দেয় রাজ্য সরকার। বর্তমান সময়কালে যা অতীব নগণ্য। গ্রুপ ডি এর জন্য ৫০০০, গ্রুপ সি ৫৫০০, গ্রাজুয়েট শিক্ষক ৬০০০ এবং পোস্ট গ্রাজুয়েট ১২০০০।

সবটাই অনুদানভিত্তিক। অথচ এই সব ২৫০০ শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীর কোনও কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা নেই। ছাত্রছাত্রীরা কেবলমাত্র বই ছাড়া সকল রকম মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেওয়া জামা জুতা ব্যাগের বারংবার আবেদন করেও আজও মেলেনি।

বৈষম্যের শিকার হচ্ছে এই সকল পিছিয়ে পড়া বিশেষত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনধিক ৪০ হাজার ছাত্রছাত্রী। বারংবার আবেদন নিবেদন করার পরেও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রদেয় মিড ডে মিল থেকেও বঞ্চিত রাখা হয়েছে এই সকল পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের।

ওয়েস্ট বেঙ্গল রিকগনাইজ আন-এডেড মাদ্রাসা ঐক্য মঞ্চের পক্ষ থেকে বারংবার আবেদন নিবেদন করে কোন সুরাহা না হওয়ায় অবশেষে তারা দীর্ঘ মেয়াদি আন্দোলনের পথে। সংগঠনের নেতৃত্বে মনে করেন, এইভাবে চলতে থাকলে ২৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধ্বংস অনিবার্য। বিশেষত পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অনধিক ৪০ হাজার ছাত্রছাত্রী বিদ্যালয় চ্যুত হওয়ার প্রবল সম্ভবনা।”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande