
আগরতলা, ১৬ ডিসেম্বর (হি.স.) : প্রতি বছরের মতো এ বছরও মঙ্গলবার আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষ্যে রাজধানীর কুঞ্জবন এলাকায় সহকারী হাইকমিশন অফিস প্রাঙ্গণে অস্থায়ী শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ শহিদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর তাঁদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার হাসান আল বাসার, প্রথম সচিব শরীফ আহমেদ, দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা, ত্রিপুরার মুক্তিযোদ্ধা স্বপন ভট্টাচার্য, অধ্যাপক মিহির দেব, আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ অনুপ কুমার সাহা, সাংবাদিক অমিত ভৌমিকসহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সহকারী হাইকমিশনার হাসান আল বাসার বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ শুধু একটি ভূখণ্ডের জন্য লড়াই ছিল না, এটি ছিল বাঙালির জাতিসত্তা, অস্তিত্ব ও সম্মানের সংগ্রাম।” তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে যখনই বাঙালির অধিকার, বাক্স্বাধীনতা ও ভোটাধিকারের ওপর আঘাত এসেছে, তখনই জনগণ প্রতিবাদে মুখর হয়েছে। এ সময় তিনি আগস্ট বিপ্লবে অংশগ্রহণকারীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আগরতলাসহ সমগ্র ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, সে সময় ত্রিপুরার মানুষ বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি শরণার্থীকে আশ্রয় ও সহায়তা প্রদান করেছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য বক্তারাও বক্তব্যে বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের মধ্যে ঐক্য, বন্ধুত্ব ও মেলবন্ধনের গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে আগরতলার ঈশ্বরী পাঠশালার শিল্পীরা দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করে। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীরা সমবেত সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন। সব মিলিয়ে এক মনোজ্ঞ ও ভাবগম্ভীর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আগরতলায় এ বছরের বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ