দিব্যাঙ্গজনদের সামাজিক ভাতার আওতায় আনতে ত্রিপুরা সরকার চেষ্টা করছে : মন্ত্রী টিংকু
আগরতলা, ১৬ ডিসেম্বর (হি.স.) : ত্রিপুরায় ১০০ শতাংশ দিব্যাঙ্গজনকে সামাজিক ভাতার আওতায় আনার লক্ষ্যে বর্তমান রাজ্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। এই উদ্যোগ সফল করতে রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা মন
মন্ত্রী টিংকু রায়


আগরতলা, ১৬ ডিসেম্বর (হি.স.) : ত্রিপুরায় ১০০ শতাংশ দিব্যাঙ্গজনকে সামাজিক ভাতার আওতায় আনার লক্ষ্যে বর্তমান রাজ্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। এই উদ্যোগ সফল করতে রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা মন্ত্রী টিংকু রায়। মঙ্গলবার বিকেলে দশরথ দেব স্টেট স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আয়োজিত খেলো ত্রিপুরা প্যারা গেমস–এর সমাপ্তি অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, দিব্যাঙ্গজনরা কোনওভাবেই অবহেলার পাত্র নন। নানা ক্ষেত্রে তাঁদের প্রতিভা সকলকে বিস্মিত করছে। তিনি জানান, রাজ্যে দিব্যাঙ্গজনরা বর্তমানে প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা করে সামাজিক ভাতা পাচ্ছেন। পাশাপাশি মানসিকভাবে দিব্যাঙ্গ ব্যক্তিদের জন্য প্রতিমাসে ৫ হাজার টাকা করে ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সুবিধা পেতে সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাযথভাবে দফতরে নাম নথিভুক্ত করার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

টিংকু রায় আরও বলেন, দিব্যাঙ্গজনদের উৎসাহিত করা ও তাঁদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে ২০২৩ সালে ত্রিপুরা প্যারা গেমসের সূচনা হয়েছিল। ধীরে ধীরে এই গেমসের পরিসর আরও বিস্তৃত হচ্ছে। এবছর ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের দুই জন কর্মকর্তা প্রতিযোগিতা পর্যবেক্ষণে রাজ্যে এসে আয়োজনের প্রশংসা করেছেন। আগামী দিনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রাজ্যের দিব্যাঙ্গ ক্রীড়াবিদরা আরও বেশি করে প্রতিনিধিত্ব করবেন বলেও তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল বলেন, দিব্যাঙ্গজনদের অধিকার রক্ষায় রাজ্য সরকার আন্তরিকভাবে সচেষ্ট এবং এই প্রতিযোগিতার আয়োজন তারই প্রতিফলন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দফতরের অধিকর্তা তপন কুমার দাস।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ঝর্ণা দেববর্মা, শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন জয়ন্তী দেববর্মা, ত্রিপুরা ক্রীড়া পর্ষদের সচিব সুকান্ত ঘোষ, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দফতরের অধিকর্তা এল ডার্লং প্রমুখ। শেষে দু’দিনব্যাপী প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande