ঠাকুরবাড়ির মারামারি মামলায় গ্রেফতার নিয়ে পুলিশকে সাধুবাদ মমতা ঠাকুরের, বাকি অভিযুক্তদের ধরার দাবি
গাইঘাটা, ২৫ ডিসেম্বর ( হি. স.):- ঠাকুরবাড়িতে মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে। এই ঘটনায় এক অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ায় বৃহস্পতিবার পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করলেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের নেত্রী মমতা ঠাকুর। পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে
মমতা বালা ঠাকুর


গাইঘাটা, ২৫ ডিসেম্বর ( হি. স.):- ঠাকুরবাড়িতে মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে। এই ঘটনায় এক অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ায় বৃহস্পতিবার পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করলেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের নেত্রী মমতা ঠাকুর। পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বাকি অভিযুক্তদেরও দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।উল্লেখ্য, ঠাকুরবাড়িতে সংঘর্ষের ঘটনায় শান্তনু ঠাকুর প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, লোকসভার স্পিকার, রাজ্য পুলিশের ডিজি, বনগাঁ পুলিশ সুপার ও গাইঘাটা থানায় মমতা ঠাকুরপন্থী বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ দায়ের করেন। অন্যদিকে মমতা ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ শান্তনু ঠাকুর, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিকাশ ঘোষ-সহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শান্তনু ঠাকুরপন্থী বরুণ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।এই প্রসঙ্গে মমতা ঠাকুর বলেন, “ঠাকুরবাড়িতে আগে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। মতুয়া ভক্তদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে, মহিলাদের শ্লীলতাহানিও হয়েছে।” ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তাঁর বক্তব্য, পুলিশ সঠিক কাজ করেছে এবং বাকি অভিযুক্তদেরও গ্রেফতার করা উচিত।অন্যদিকে শান্তনু ঠাকুরের অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দ্রনাথ গাইন দাবি করেন, মমতা ঠাকুরের অনুগামীরাই পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে বরুণ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করানো হয়েছে। যদিও তিনি পুলিশের নিরপেক্ষ তদন্তের উপর আস্থা রাখছেন।এদিকে সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ করে মমতা ঠাকুর বলেন, এই ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

হিন্দুস্থান সমাচার / এ. গঙ্গোপাধ্যায়




 

 rajesh pande