রেললাইনের ধারে অগনিত কচ্ছপ, বর্ধমানে জোর শোরগোল
বর্ধমান, ২৮ জানুয়ারি (হি. স.) : রেললাইনের ধারে পড়ে রয়েছে শয়ে শয়ে কচ্ছপ। বর্ধমান এবং তালিত স্টেশনে
রেললাইনের ধারে অগনিত কচ্ছপ, বর্ধমানে জোর শোরগোল


বর্ধমান, ২৮ জানুয়ারি (হি. স.) : রেললাইনের ধারে পড়ে রয়েছে শয়ে শয়ে কচ্ছপ। বর্ধমান এবং তালিত স্টেশনের মাঝে জোর শোরগোল। কেউ কেউ সেগুলি হাতে তুলে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তবে এক সিভিক ভলান্টিয়ার খবর দেন বন দফতরে। উদ্ধার হয় ৯৯৬টি কচ্ছপ। কে বা কারা কচ্ছপগুলি ফেলে রেখে গেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

শনিবার সকালে বর্ধমান এবং তালিত স্টেশনের মাঝে দেখা যায় শয়ে শয়ে কচ্ছপ পড়ে রয়েছে। যাত্রীরা কার্যত অবাক হয়ে যান। শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকায়। কেউ কেউ কচ্ছপ মাটি থেকে তুলে ব্যাগে ভরতে ব্যস্ত। আবার কেউ ব্যস্ত ছবি তুলতে। এক সিভিক ভলান্টিয়ার ঘটনাস্থলে পৌঁছন। পরিস্থিতি দেখে খবর দেন দেওয়ানদিঘি থানায়। তড়িঘড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। খবর দেওয়া হয় বন দফতরেও। তড়িঘড়ি বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। কচ্ছপগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া যায়।

সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশ থেকে বাংলায় কচ্ছপ নিয়ে আসা হয়। বর্ধমান স্টেশনে বহুবার কচ্ছপ পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। তাই বর্ধমান স্টেশনে ঢোকার আগে বর্ধমান এবং তালিত স্টেশনের মাঝে কচ্ছপগুলিকে ফেলে দেওয়া হতে পারে। অথবা কচ্ছপগুলিকে সময়মতো নেওয়া হবে ভেবে বর্ধমান এবং তালিত স্টেশনের মাঝে কেউ রেখেও যেতে পারে। বর্ধমান বন দফতরের রেঞ্জার কাজল বিশ্বাস বলেন, “বন দফতর কচ্ছপ পাচার রুখতে ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তাই ভয়ে হত কচ্ছপগুলি ফেলে দিয়ে গিয়েছে পাচারকারী। কচ্ছপগুলিকে বর্তমানে রমনাবাগান অভয়ারণ্যে রাখা হবে। চিকিৎসা করা হবে কচ্ছপগুলির। তারপর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।”

হিন্দুস্থান সমাচার/ অশোক




 

 rajesh pande