কলকাতা, ২২ অক্টোবর (হি.স.) : ঘূর্ণিঝড় দানা এর পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্য সচিবালয় নবান্নে মঙ্গলবার এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ এবং উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার একাধিক পর্যটন কেন্দ্রে রয়েছেন যারা তাদেরকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই পর্যটকদের গতিবিধি সমস্ত রকম ভাবে এবং গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই মুহূর্তে উপকূল জেলার পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে না যাওয়ার পরামর্শ রাজ্য পর্যটন দফতরের।
দীঘা, বকখালি, গঙ্গাসাগর, সুন্দরবন, গাদিয়াড়া, টাকি সহ একাধিক ট্যুরিস্ট স্পটে যেতেই মানা করেছে রাজ্য সরকার। এ নিয়ে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর, ডিজি, সিপি ও সমস্ত জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। ঘূর্নাবর্ত থেকে গভীর নিম্নচাপের প্রেক্ষিতেই তা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর। সেই অনুযায়ী, ১০০ কিঃমিঃ বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। কোথাও কোথাও ১২০ কিঃমিঃ প্রতি ঘন্টায় দমকা হাওয়া বইতে পারে বলে অনুমান। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়াও কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম, এই সাত জেলায় প্রভাব বেশির সম্ভাবনা। একারণে ভারি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইতে পারে জানানো হয়েছে। এর মোকাবিলায় পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে রাজ্যে সরকার। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজ্যস্তরে ও জেলাস্তরে সব সময়ের জন্য কন্ট্রোল রুম ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, বাংলা নদী মাতৃক দেশ। এর ফলে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ বেশি। এসডিআরএফ ও এনডিআরএফ মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা চালু হয়েছে। উপকূল অঞ্চলে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনেক সময় বললেও অনেক বাড়ি ছেড়ে বের হতে চান না। এটাও ঠিক যে কেউ কেউ নিজের বাড়ি ছাড়তে চান না। কিন্তু কি করা যাবে। এর একটা প্রভাব উত্তরবঙ্গেও পড়তে পারে। সেখানে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা হয়েছে। যদি কোনও পর্যটক এই মুহূর্তে পুরীতে রয়েছেন, তাহলে তাদের তো জানা উচিত। যদিও মুখ্যসচিব রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন। রাজ্যবাসীকে সতর্ক করতে পারে রাজ্য সরকার। কিন্তু কেউ যদি এই বার্তাকে মান্যতা না দেন তাহলে কিছুই করার নেই। উল্লেখ্য, আমফানের সময় প্রায় চার-পাঁচ লাখ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরাতে হয়। অযথা সকলকেই ঝুঁকি নিতে বারণ করা হচ্ছে।
হিন্দুস্থান সমাচার / শুভদ্যুতি দত্ত