কলকাতা, ৬ নভেম্বর (হি. স.): স্কটিশ চার্চ কলেজে সেমিনার কক্ষের নতুন নামকরণ হল। ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের সাহায্যে দেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী স্কটিশ চার্চ কলেজে অভয়চরণ দে যিনি এ সি ভক্তিবেদান্ত প্রভুপাদের নামে অধিক পরিচিত। তাঁর নামাঙ্কিত একটি সেমিনার কক্ষ তৈরি হয়েছে - অভয়চরণ সেমিনার হল। এই কলেজ ভারতের প্রাচীনতম খ্রিস্টীয় প্রতিষ্ঠান - যেখানে কলা, বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও ব্যবসা বিভাগে রয়েছে স্নাতক স্তর এবং শিক্ষক শিক্ষণ কলেজ। এটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পঞ্চম প্রতিষ্ঠান এবং দ্বিতীয় খ্রিস্টান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত কলেজ।
কলকাতার এই প্রাচীন মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষাপ্রাপ্ত অভয়চরণ দে, যিনি ভক্তিবেদান্ত প্রভুপাদ নামে পরবর্তী সময়ে বিশ্বজুড়ে খ্যাতির শিখরে। প্রভুপাদের মূল সাধনার বিষয় ছিল - গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্ম দর্শন এবং ইসকন নামে বিশ্ববন্দিত সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা - আচার্য। ভক্তি সিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী প্রভুপাদের শিষ্য ছিলেন তিনি। হিন্দুধর্মের গৌড়ীয় বৈষ্ণব মতবাদটি তিনি কেবলমাত্র দেশের অভ্যন্তরে নয় সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯১৬ সালে বি এ পড়ার জন্য তিনি স্কটিশ চার্চ কলেজ ভর্তি হন। লীলামৃত অনুযায়ী, এই কলেজে তিনি প্রথম বর্ষে ইংরেজি ও সংস্কৃত ; দ্বিতীয় বর্ষে সংস্কৃত ও দর্শন এবং তৃতীয় বর্ষে দর্শন ও অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেন। সেই কারণে তাঁর স্মরণে ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের সহযোগিতায় বুধবার স্কটিশ চার্চ কলেজে তাঁর নামাঙ্কিত আলোচনা সভাকক্ষের দ্বারোদ্ঘাটন হয়েছে।
স্কটিশ চার্চ কলেজের অধ্যক্ষা মধুমঞ্জরী মন্ডল বলেন, এই মহাপুরুষ পড়াশোনা করেছেন। খুবই গর্বের বিষয়। এই কলেজে তাঁর নামে সেমিনার হল তৈরিতে খুশি।
ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ডিন ড. সুমন্ত রুদ্র বলেন, এমন উদ্যোগ ছাত্র,গবেষক, শিক্ষকদের অনুপ্রাণিত করবে। এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্কটিশ চার্চ কলেজ কাউন্সিলের সভাপতি ও কলকাতার বিশপ রেভারেন্ড পরিতোষ ক্যানিং,
স্কটিশ চার্চ কলেজের উপাধ্যক্ষ ডক্টর সুপ্রতিম দাস প্রমুখ। কলকাতা ইস্কনের সহ-সভাপতি রাধারমণ দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
হিন্দুস্থান সমাচার / শুভদ্যুতি দত্ত
