দুর্নীতির গঙ্গাসাগর, সব এসে মিশেছে এক জায়গায়: বালুর জামিনের বিরোধিতায় ইডি
কলকাতা, ২১ ডিসেম্বর (হি.স.): রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত জ্যোতিপ্রিয়ের জামিনের বিরোধিতা করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শনিবার আদালতে ইডি দাবি করল রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক হলেন ‘দুর্নীতির গঙ্গাসাগর’। নদীর শাখা-প্রশাখা যেমন
ইডি


কলকাতা, ২১ ডিসেম্বর (হি.স.): রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত জ্যোতিপ্রিয়ের জামিনের বিরোধিতা করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শনিবার আদালতে ইডি দাবি করল রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক হলেন ‘দুর্নীতির গঙ্গাসাগর’। নদীর শাখা-প্রশাখা যেমন সাগরে মেশে, তেমনই দুর্নীতিকারীদের গন্তব্যস্থলও ছিলেন তিনি।

রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়বাবু ঘনিষ্ঠমহলে বালু বলে পরিচিত। সেই বালুকে দুর্নীতির ‘রিং মাস্টার’ বলেও দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন বিচারভবনে তাঁর জামিনের মামলার শুনানি ছিল। এর আগের শুনানিতে বালুবাবুর আইনজীবী জামিনের আবেদনে তাদের ‘সাবমিশন’ করেছিল। শনিবার, দ্বিতীয় দিন ইডি সেই জামিনের বিরোধিতা করে তাদের বক্তব্য জানাল।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী আদালতে সওয়াল করে বললেন, ‘‘জ্যোতিপ্রিয়বাবু হলেন দুর্নীতির গঙ্গাসাগর। এই দুর্নীতিকে যদি পাখির মতো উপর থেকে দেখা যায়, তা হলে দেখা যাবে, গঙ্গাসাগরে যেমন নদীর বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা এসে মেশে, তেমন এই ক্ষেত্রে দুর্নীতির একাধিক শাখা গিয়ে মিশেছে মন্ত্রীর কাছে। তদন্ত করতে গিয়ে এ সব দেখা গিয়েছে।’’

ইডির আরও দাবি, ‘ভুয়ো’ সংস্থা থেকে শুরু করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মালিকানা, সর্বত্রই জ্যোতিপ্রিয়বাবুর লোক রয়েছেন।

রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বালুবাবুর জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে ইডি মন্তব্য করে যে, এই দুর্নীতির এফআইআরে প্রথমে তাঁর নাম ছিল না। কিন্তু তদন্ত করতে গিয়ে একাধিক নথি ইডির হাতে এসেছে। তা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, এফআইআরে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর নাম না থাকলেও এই দুর্নীতির ‘রিং মাস্টার’ তিনি।

ইডির আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, ‘‘ষড়যন্ত্রকারীরা প্রকাশ্যে আসেন না, নেপথ্যে থেকেই পরিচালনা করেন। এই দুর্নীতি চালনা করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু। যখন রেশন দুর্নীতি হয়েছে, তখন তিনি ক্ষমতাশালী (মন্ত্রী) ছিলেন।’’

হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande