এগরা, ২২ ডিসেম্বর(হি.স.): রবিবার বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার এবং কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাংকের নির্বাচনে ভোট লুঠের প্রতিবাদে এগরার দীঘা মোড়ে বিজেপির উদ্যোগে একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, যিনি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন।
শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন যে কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাংকের নির্বাচন কেন্দ্র ইচ্ছাকৃতভাবে এগরা থেকে জেড়থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যাতে ভোট লুঠ করা যায়। তিনি দাবি করেন, তৃণমূল নেতা আয়ুব খানের নেতৃত্বে এই লুঠ সংঘটিত হয়েছে। আয়ুব খানকে সতর্ক করে শুভেন্দু বলেন, আয়ুব ব্যাটা, তুমি মুম্বাইতে ব্যবসা করো। ওখানে কোন সরকার আছে জানো তো! আয়ুবের ডিটেলস আমাকে দিবেন, কী করে উল্টো ঝুলিয়ে সোজা করতে হয় সেটা আমার জানা আছে। আমার নাম শুভেন্দু অধিকারী।
এগরার বিধায়ক তরুণ মাইতিকে আক্রমণ করে শুভেন্দু ঘোষণা করেন, জানুয়ারি মাসে বালিঘাইতে একটি বড় সভা করবো। শিক্ষক থেকে অধপতিত হওয়া এগরার বিধায়ক তরুণ মাইতিকে হারাবো। ২৬ সালের নির্বাচনে হারাধন তরুণ মাইতি এর উত্তর পাবে। আপনাকে লোকসভায় হারিয়েছি, বিধানসভায়ও হারাবো। বলে বলে হারাবো, আপনারা যা খুশি করুন সরাসরি চ্যালেঞ্জ এগরার বিধায়ককে।
রাজ্যের ভোটার তালিকায় জঙ্গিদের নাম অন্তর্ভুক্তির প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, শুধু ভোটার লিস্টে নয়, সৌকত মোল্লার বিখ্যাত ক্যানিং-এ জাভেদ মুন্সি ধরা পড়েছে। কাশ্মীরের পুলিশ এসে ধরে নিয়ে গেছে। কাশ্মীরের পুলিশ পাকিস্তানের জঙ্গিকে ধরেছে। এগরার জেড়থানের আরেক জঙ্গি আয়ুব খান। গোটা রাজ্যটাই জঙ্গিতে ভর্তি হয়ে গেছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, তৃণমূল ২ কোটি ৭৫ লক্ষ ভোট পেয়েছে, তার মধ্যে ২ কোটি মুসলমানের ভোট, বাকি ৪০ লক্ষ ছাপ্পা ভোট। ডায়মন্ড হারবারে হিন্দুদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি, পিংলার একটি মন্ডলে কোনো হিন্দু ভোট দিতে পারেনি, জেড়থানে বিজেপি একটাও ভোট দিতে পারেনি। এখানে জঙ্গিদের সরকার চলছে। এদের মুখ হচ্ছে সিদ্দিকুল্লা আর ফিরহাদ হাকিম। আর মুখোশ হচ্ছে মমতা ব্যানার্জি।
বিএসএফ-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শুভেন্দু বলেন, বিএসএফ ঠিক মতো গার্ড দিচ্ছে না। ওরা আগে জমি দিক, তারপর বিএসএফ-এর উপর আঙুল তুলবে।
এই সভায় শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপির অবস্থানকে আরও সুসংহত করেছে এবং আগামী নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
হিন্দুস্থান সমাচার / এ. গঙ্গোপাধ্যায়