বিলোনিয়া (ত্রিপুরা), ২৮ ডিসেম্বর (হি.স.) : বন দপ্তরের কর্মীদের আক্রমণে আশঙ্কাজনক সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। আহত মহিলা বর্তমানে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার শান্তিরবাজার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পিআর বাড়ি থানাতে শনিবার দুপুরে মামলা দায়ের করা হয় তিন বনকর্মীর বিরুদ্ধে। অপরদিকে বন দপ্তরের পক্ষ থেকেও আক্রমণ সহ অন্যান্য অভিযোগ নিয়ে সুজন সহ সুজনের স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনা রাজনগরের ডিমাতলী এলাকায়।
বিলোনিয়া মহকুমার পিআর বাড়ি থানার অন্তর্গত ডিমাতলী গ্রাম পঞ্চায়েতের চন্দ্রপুর এলাকার সুজন রায় এদিন বাড়িতে মোরগের ফার্ম করার জন্য ঘর তৈরি করছিলেন। বন দপ্তরের বিট ফরেষ্টার উত্তম দাস, বিকাশ দাস এবং সূর্য দেববর্মা সুজন রায়ের বাড়ীতে হানা দেয়। বাড়িতে তখন সুজন রায়ের সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীও ছিলেন। সুজন রায়ের অভিযোগ ফরেষ্টার বাড়িতে গিয়ে প্রথমে সুজন রায়কে বন দপ্তরের জায়গায় ঘর তৈরিতে বাধা দেয়। সুজন তাদের জানায় এলাকার ৯০ শতাংশ লোক বনদপ্তরের জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে। সেও বসবাস করছে।
বনকর্মীরা কোন কথা শুনতে রাজি হয়নি। তার অভিযোগ বনকর্মীরা সুজনকে দূরে ডেকে নিয়ে দশ হাজার টাকা দাবি করেন। না হলে ঘর তৈরি করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেয়। সুজন টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাদের কথা বার্তা ভিডিও রেকর্ডিং করতে গেলে বনকর্মীরা তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাদের ধস্তাধস্তি দেখে স্বামীকে বাঁচাতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী এগিয়ে এলে বনদপ্তরের কর্মীদের সুজনকে মারা লাথি অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে পড়ে। এতে তিনি মারাত্মক আহত হয়। সুজনের অভিযোগ বনকর্মীরা তার মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। বন দপ্তরের কর্মীদের অমানবিক আক্রমণে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
হিন্দুস্থান সমাচার / Subhash Chandra Das