গুয়াহাটি, ৩০ ডিসেম্বর (হি.স.) : বড়োল্যান্ডের পাশাপাশি অসমের উন্নয়নে বড়ো শান্তি চুক্তি এক বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদীজি। তাই বড়ো শান্তি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন অসমের রাজ্যপাল লক্ষ্মণপ্রসাদ আচার্য।
আজ সোমবার গুয়াহাটির মাছখোয়ায় অবস্থিত প্রাগজ্যোতিষ আইটিএ সেন্টারে ‘বিটিআর কমিউনিটি ভিজন ডকুমেন্ট’ উন্মোচন করে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল বলেন, চার বছর আগে স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তি এই অঞ্চলে সংগঠিত সহিংসতা, হত্যাকাণ্ড এবং ব্যাপক অন্ধকার দিনগুলির অবসান ঘটিয়ে শান্তি ও আশার সূচনা করেছে। রাজ্যপাল বলেন, শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। রাজ্যপাল বলেন, ভিজন ডকুমেন্টটি নিছক একটি উন্নয়নমূলক রোডম্যাপ নয়, ঐতিহাসিক বড়ো শান্তি চুক্তির সাফল্যের প্রমাণ। ‘আমি বিশ্বাস করি, এই ডকুমেন্ট বড়োল্যান্ডে ব্যাপক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে,’ বলেন তিনি।
রাজ্যপাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত এই উদ্যোগ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা এবং বিটিআর-প্রধান প্রমোদ বড়োর আন্তরিক ইচ্ছায় বাস্তবায়িত হয়েছে। ২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার এবং বিভিন্ন বড়ো গোষ্ঠীর মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বড়ো শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। বিটিআর-এর যুবকরা মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন। গত চার বছর ধরে এলাকায় কোনও সহিংসতা হয়নি, কারণ সরকার শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, বলেন লক্ষ্মণপ্রসাদ আচার্য।
প্রমোদ বড়ো নেতৃত্বাধীন পরিষদ জনগণকে সুস্থ পরিবেশ দিয়েছে। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে এবং এলাকায় স্থায়ী শান্তি ও সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে উন্নয়ন শুরু করেছে পরিষদ।
অনুষ্ঠানে বিটিআর-প্রধান বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে বলেন, কমিউনিটি ভিজন ডকুমেন্ট (সিভিডি) খসড়া তৈরি করা হয়েছে অন্তর্ভুক্তির নীতি এবং বড়োল্যান্ডের চারটি জেলায় বসবাসকারী সকল সম্প্রদায়ের আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা মাথায় রেখে। তিনি বলেন, ভিজন ডকুমেন্টে বিটিআর-এর সংখ্যাগরিষ্ঠ বড়ো উপজাতীয় জনসংখ্যার সাথে সহাবস্থানে বিদ্যমান ২৬টি বৈচিত্র্যময় সম্প্রদায়ের আকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যাঁরা কয়েক দশক ধরে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও এই অঞ্চলের প্রাণবন্ত বহুসংস্কৃতির ফ্যাব্রিকের সাথে একীভূত হয়েছে।
ভিজন ডকুমেন্টটি কেবলমাত্র নীতি কাঠামোর চেয়েও বেশি, কারণ এটি বিটিআর-এর প্রতিটি সম্প্রদায়ের কণ্ঠস্বরকে প্রতিনিধিত্ব করে, নিশ্চিত করে যে কেউ পিছিয়ে নেই, বলেন প্রমোদ।
অনুষ্ঠানে বহুজনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অসম বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দৈমারি, শিক্ষামন্ত্রী ড. রণোজ পেগু, রাজ্যের পাঁচ পরিষদীয় মন্ত্রী অতুল বরা, রঞ্জিতকুমার দাস, উর্খাও গৌরা ব্রহ্ম, অশোক সিংঘল, সাংসদ দিলীপ শইকিয়া, মুখ্যসচিব ড. রবি কোটা, ডিজিপি জিপি সিং, বরিষ্ঠা সাংবাদিক প্যাট্রিসিয়া মুখিম সমেত অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস