দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটের পরে বিজেপি এবং এনডিএ ২-০ তে এগিয়ে রয়েছে, কোলহাপুরের জনসভা থেকে মোদী
মুম্বই, ২৭ এপ্রিল (হি.স. ) : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, শনিবার মহারাষ্ট্রের কোলহাপুরে
দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটের পরে বিজেপি এবং এনডিএ ২-০ তে এগিয়ে রয়েছে, কোলহাপুরের জনসভা থেকে মোদী


মুম্বই, ২৭ এপ্রিল (হি.স. ) : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, শনিবার মহারাষ্ট্রের কোলহাপুরে অনুষ্ঠিত একটি বিশাল জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময়, নির্বাচনের দৃশ্যকে একটি ফুটবল ম্যাচের সাথে তুলনা করেছিলেন, যেখানে দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটের পরে বিজেপি এবং এনডিএ ২-০ তে এগিয়ে রয়েছে। এই কর্মসূচি চলাকালীন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী একনাথ শিন্ডে, মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস, রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী রামদাস আঠাওয়ালে, কোলহাপুর লোকসভা প্রার্থী শ্রী সঞ্জয় মান্ডলিক, হাতকানাঙ্গের লোকসভা প্রার্থী শ্রী ধৈর্যশীল সম্ভাজিরাও মানে এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে কোলহাপুরকে মহারাষ্ট্রের ফুটবল হাব বলা হয় এবং এখানকার যুবকদের মধ্যে ফুটবল খেলা খুবই জনপ্রিয়। গতকাল দ্বিতীয় ধাপের ভোট শেষ হওয়ার পর ফুটবলের দিক থেকে, বিজেপি এবং এনডিএ ২-০ তে এগিয়ে রয়েছে। কংগ্রেস এবং ইন্ডি জোট দেশবিরোধী এবং ঘৃণার রাজনীতির ২টি সেমসাইট গোল করেছে এবং যার ফলে এটা নিশ্চিত ফের একবার মোদী সরকার। কিন্তু এবার তৃতীয় পর্বের বল বহন করার দায়িত্ব আসতে চলেছে কোলহাপুরের মানুষের হাতে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে আপনারা এমন একটি গোল করবেন যাতে ইন্ডি জোটের লোকেরা পরবর্তী রাউন্ডগুলিতেও চিন্তিত থাকবে।

শ্রী মোদী বলেন যে ইন্ডি জোটের লোকেরা বলছে যে তাদের সরকার গঠিত হলে তারা সিএএ আইন বাতিল করবে। ইন্ডি জোটের লোকেরা, যারা তিন অঙ্কের আসন জিততে আগ্রহী, তারা কি কখনও সরকারের দুয়ারে যেতে পারবে? ইন্ডি জোটের লোকেরা এমন একটি ফর্মুলা তৈরি করছে যে প্রতি বছর একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী হবে এবং তারা যদি ৫ বছরের জন্য সুযোগ পায় তবে তারা ৫ জনকে প্রধানমন্ত্রী করবে। কংগ্রেস এখন এতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে, কর্ণাটকে তাদের সরকার আড়াই বছরের জন্য একজন মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে গঠিত হয় এবং আড়াই বছর পরে তাদের উপমুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী হন এবং তারা রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ে একই ফর্মুলা তৈরি করেছিলেন। এছাড়াও যারা ৫ বছরে ৫ জন প্রধানমন্ত্রী করেছে, এই দেশ তাদের কখনোই সহ্য করবে না এবং সেজন্যই তারা দেশের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করছে। কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুতে ইন্ডি জোটের এই লোকেরা দক্ষিণ ভারত ভেঙে আলাদা দেশ গড়ার দাবি করছে। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের দেশ কংগ্রেসের এ ধরনের এজেন্ডা কখনই মেনে নেবে না।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কংগ্রেস কয়েক দশক ধরে রাম মন্দিরের ইস্যুকে আটকে রেখেছিল এবং বিশাল মন্দির নির্মাণের পরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানও বয়কট করেছিল। অযোধ্যার আনসারি পরিবার সারাজীবন রাম মন্দিরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা লড়তে থাকে, কিন্তু আদালত যখন বলেছিল যে শুধুমাত্র রাম মন্দিরই তৈরি হবে, তখন পুরো আনসারি পরিবার রামলালার কাছে শরণাগত হয়। কংগ্রেসের সহযোগী দল ডিএমকেও সনাতনকে গালি দিতে কোনও খামতি রাখেনি। ডিএমকে সনাতনকে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার সঙ্গে তুলনা করছে। যে দলগুলি সনাতনকে গালি দেয়, ইন্ডি ও আঘাড়ির লোকজন তাদের মহারাষ্ট্রে ডেকে সম্মান করে। ইন্ডি-আঘাড়ির ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির স্তর এতটাই পড়ে গেছে যে শিবাজী মহারাজের ভূমিতে তারা ঔরঙ্গজেবের অনুসারীদের সাথে মিশে গেছে। নকল শিবসেনা এই লোকজনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাঁটছে। যারা তোষণ ও ভোটব্যাংকের রাজনীতি করে তারা এখন জনগণের উপার্জন এবং দলিত ও অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য সংরক্ষণের দিকে মনোযোগ দিয়েছে। কংগ্রেস শেহজাদা রাহুল গান্ধী ঘোষণা করেছেন, তিনি জনগণের সম্পত্তি এবং মহিলাদের গয়নার তদন্ত করাবেন। কংগ্রেস জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ তাদের মধ্যে বিতরণ করার কথা ভাবছে, কংগ্রেস তুষ্টির জন্য যে কোনও মাত্রায় নতজানু হতে পারে।

শ্রী মোদী বলেছেন, কংগ্রেসও এও ঘোষণা করেছে যে, আপনাদের জমানো সমস্ত মূলধনের পুরোটাই আপনাদের সন্তানরা পাবে না। মানুষের মৃত্যুর পর কংগ্রেস উত্তরাধিকার কর আরোপ করে তাদের পৈতৃক উপার্জনের অর্ধেক আদায় করতে চায়। কিন্তু কংগ্রেসের এমন স্বপ্ন কখনোই পূরণ হতে পারে না। মহারাষ্ট্র বাবা সাহেব আম্বেদকর, ছত্রপতি সাহু জি মহারাজ এবং জ্যোতিবা ফুলের ভূমি। মহারাষ্ট্রের এই ভূমি সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতীক, কিন্তু কংগ্রেস এবং ইন্ডি-আঘাড়ি নতুন সামাজিক ন্যায়বিচারকে হত্যা করতে বদ্ধপরিকর। যে কংগ্রেস সবসময় বাবা সাহেবকে অপমান করেছে, তারা এখন দলিত ও অনগ্রসর শ্রেণীর সংরক্ষণ কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাবা সাহেব আম্বেদকর দেশের সংবিধানে স্পষ্টভাবে লিখেছেন যে ভারতে ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ থাকবে না। কিন্তু কংগ্রেস গোটা দেশে ধর্মভিত্তিক সংরক্ষণের জন্য জোর দিচ্ছে। মহারাষ্ট্র সহ গোটা দেশে কর্ণাটকের রিজার্ভেশন মডেল বাস্তবায়ন করতে চায় কংগ্রেস। কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার ২৭ শতাংশ ওবিসি সংরক্ষণ চুরি করে ধর্মের ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছে। কংগ্রেস রাতারাতি একটি স্ট্যাম্প লাগিয়ে একটি বিশেষ শ্রেণিকে ওবিসি হিসাবে ঘোষণা করেছিল। কংগ্রেস ওবিসিদের অধিকার হরণ করেছে এবং তারা সারা দেশে একই কাজ করতে চায়। ইউপিএ সরকার ২০১২ সালে এটি করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তখন এটি সফল হয়নি, তাই কংগ্রেস এখন সংবিধান পরিবর্তন করতে এবং ধর্মের ভিত্তিতে দলিত এবং অনগ্রসর শ্রেণির সংরক্ষণ বণ্টন করতে চায়। কর্ণাটকে যারা অনগ্রসর শ্রেণীর সংরক্ষণ কেড়ে নিয়েছে তারা যেন দেশে কোনো সাফল্য না পায়। শ্রী মোদী বলেছেন, কংগ্রেস এবং ইন্ডি-আঘাড়ি একই এজেন্ডা রয়েছে, সরকার গঠন করো আর অর্থ উপার্জন করো। তবে এনডিএ এই ১০ বছরে সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করেছে। এনডিএ যুব ও মহিলাদের কেন্দ্রায়িত করে কাজ করেছে। এনডিএ একটি আত্মনির্ভর অভিযান শুরু করেছিল যা দেশের শিল্পকে বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছিল। এনডিএ স্টার্টআপ ইন্ডিয়া প্রচার শুরু করেছে যা যুবকদের সুযোগ দিয়েছে। এখন ভারত স্টার্টআপের ক্ষেত্রে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ। এখন ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক।

ভারতের সেই যুব সমাজ, যাদের কংগ্রেস চাকরি ও কর্মসংস্থানের জন্য আকুল করেছিল, তারাই এখন বিশ্ব অর্থনীতিকে দিক নির্দেশনা দিচ্ছে। পরবর্তী মেয়াদে, বিজেপি এবং এনডিএ যুবকদের আরও বেশি সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সেই কারণেই বিজেপি ঘোষণা করেছে যে এখন মুদ্রা যোজনার অধীনে ১০ লক্ষ টাকার পরিবর্তে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে, তাও গ্যারান্টি কোনও ছাড়াই। আমাদের সরকার আগামী ৫ বছরে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে রেকর্ড বিনিয়োগ করবে। মহিলাদের জন্য সুযোগ এবং নিরাপত্তা একটি বিকশিত ভারতের জন্য মোদীর গ্যারান্টি। আগে যেসব সেক্টরে মহিলাদের কাজ করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা মোদী বাতিল করে দিয়েছে। আমাদের সরকার রোজগার মেলার মাধ্যমে সরকারি চাকরির জন্য লক্ষ লক্ষ নিয়োগ করেছে। মহারাষ্ট্রের কোলহাপুরে সমবায় সমিতিগুলিতে মহিলারা একটি বড় ভূমিকা পালন করে৷ আমাদের সরকার প্রথমবারের মতো একটি পৃথক সমবায় মন্ত্রক তৈরি করেছে। আমরা মহিলাদের আর্থিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির একটি বড় আন্দোলন শুরু করেছি এবং ফলাফল হল যে গত ১০ বছরে ১০ কোটি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে যোগদান করেছেন। মহারাষ্ট্রেও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের হাজার হাজার কোটি টাকা সাহায্য দেওয়া হয়েছে। এখন বিজেপি সরকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ৩ কোটি মহিলাকে লাখপতি দিদি বানানোর সংকল্প নিয়ে এগোচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখন এই নারী শক্তিই মোদীর জন্য সুরক্ষা কবচ হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে, তাই কংগ্রেসের ক্ষতি হওয়া স্বাভাবিক। বীরাঙ্গনা তারাবাইয়ের ভূমি কংগ্রেসের ক্ষমতা ধ্বংস করার কথা বলে। কোলহাপুর একটি উন্নয়ন এবং ঐতিহ্যগত সম্ভাবনায় পরিপূর্ন একটি এলাকা কিন্তু কংগ্রেস এবং ইন্ডি-আঘাড়ি সরকার সবসময় এই এলাকাটিকে অবহেলা করেছে। আজ কেন্দ্রের এনডিএ সরকার, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী একনাথ শিন্ডে, শ্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস এবং শ্রী অজিত পওয়ারের সরকার কোলহাপুরের উন্নয়নের জন্য দিনরাত কাজ করছে। মুম্বই-বেঙ্গালুরু হাইওয়ের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে, মহারাষ্ট্রের একটি বড় অংশ শক্তিপীঠ এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে আধুনিক যোগাযোগের সাথে যুক্ত হতে চলেছে। কোলহাপুর অঞ্চল একটি নতুন ট্রেনের উপহার পেয়েছে এবং বন্দে ভারত ট্রেনও এখানে শীঘ্রই চালু হতে চলেছে। যারা কমিশন না পাওয়া পর্যন্ত ফাইল চাপা দিয়ে বসে থাকে এবং ইয়াকুব মেননের কবর সাজায় তাদের কাছ থেকে কোলহাপুরের উন্নয়ন আশা করা যায় না। মহারাষ্ট্র এবং এই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য ৭ মে ২০২৪-এ একটি বড় সুযোগ আসছে। কোলহাপুর লোকসভা প্রার্থী শ্রী সঞ্জয় মান্ডলিক এবং হাতকানাঙ্গলে লোকসভা প্রার্থী শ্রী ধৈর্যশীল সম্ভাজিরাও মানেকে বিজয়ী করে বিজেপিকে শক্তিশালী করার দিন। একটি ভোট কোলহাপুর লোকসভা প্রার্থী শ্রী সঞ্জয় মান্ডলিক এবং হাতকানাঙ্গলে লোকসভা প্রার্থী শ্রী ধৈরিশীল সম্ভাজিরাও-কে দেওয়া মানে মোদীকে দেওয়া৷

হিন্দুস্থান সমাচার / রাকেশ / সোনালি




 

 rajesh pande