সন্দেশখালির অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে সরব গুরুত্বপূর্ণরা
অশোক সেনগুপ্ত কলকাতা, ২৭ এপ্রিল (হি.স.): সন্দেশখালির অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছে প্র
সন্দেশখালির অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে সরব গুরুত্বপূর্ণরা


অশোক সেনগুপ্ত

কলকাতা, ২৭ এপ্রিল (হি.স.): সন্দেশখালির অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছে প্রতিক্রিয়া। এক্স হ্যান্ডলে দলের গুরুত্বপূর্ণরা জানাচ্ছেন তাঁদের মতামত।

প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির দ্বারা উদ্ঘাটিত অস্ত্রের মজুত সারা দেশের পত্রিকায় ব্যানার শিরোনাম হওয়া উচিত ছিল। কারণ এটি ইসলামী বাংলাদেশের সীমানার খুব কাছেই। দ্বিতীয়ত, এগুলো খুব সাবধানে মেঝের নিচে একটি গোপন ভল্টে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।”

টেবিলে সাজানো সন্দেশখালিতে উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্রের ছবি-সহ তরুণজ্যোতি তিওয়ারি লিখেছেন, “দেখরে খুলে তোর ত্রিনয়ন, সন্দেশখালীর তৃণমূল নেতার বাড়িতে পাওয়া গেছে তৃণমূলের উন্নয়ন।”

তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “সন্দেশখালি ইস্যু জিইয়ে রাখার জন্য পরিকল্পিত চক্রান্তে অতিনাটকীয় কাজকর্ম করে ভোট প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে দিল্লির তরফ থেকে। আগাম সাজানো নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে। খবর ছড়িয়ে, যন্ত্র নামিয়ে বাজার গরম করছে। পুলিশের আরও সতর্ক থাকা দরকার।”

তৃণমূলের সহ সভাপতি তথা দলের রাজ্য মুখপাত্র সুদীপ রাহা লিখেছেন, “এনএসজি-র মর্যাদা বলে তো আর কিছু রইল না! রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য এখন সবাইকে নামানো হচ্ছে! পরাজয় নিশ্চিত জেনেই চিত্রনাট্য সাজানো হয়েছে। ২য় দফার নির্বাচনের দিন সন্দেশখালি নিয়ে যা চলছে সিনেমাকেও হার মানাবে।

বাংলাকে এত ভয়? বাংলা জিতবে, জমিদারদের ওই রোবটে চড়ে পালাতে হবে।” হায়ার স্ট্যাটিসটিক্যাল সার্ভিসের প্রাক্তন আধিকারিক তথা স্বামী বিবেকানন্দ গ্রুপ অফ ম্যানেজমেন্টের প্রাক্তন পরামর্শদাতা অমিত গুপ্ত এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “এটি পশ্চিমবঙ্গর সাথে ভারতের বাসিন্দাদের নিরাপত্তার সঙ্গেও জড়িত একটি অত্যন্ত গুরুতর সমস্যা৷ আমি মনে করি, নিজেদের সুরক্ষিত রাখার জন্য বিচার বিভাগ-সহ কারও থেকে কোনও ধরণের বাধা থাকা উচিত নয়৷ আশা করি তদন্তকারী সংস্থাগুলি অত্যন্ত চটপটে কাজ করবে।”

প্রসঙ্গত, উদ্ধার করা অস্ত্রগুলো এমনই, যে বাজার থেকে কেনা যায় না। এগুলি নিলাম হয়। চড়া দামে কিনতে হয়। লক্ষ লক্ষ টাকা দাম উঠে যায় একেকটি অস্ত্রের।

হিন্দুস্থান সমাচার/ অশোক




 

 rajesh pande