গুয়াহাটি, ৯ জুলাই (হি.স.) : দালালদের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অধীন রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) নিয়মিতভাবে অভিযান চালিয়েছে। সম্প্রতি ১৬ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এই জোনের মধ্যে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে আরপিএফ তিন দালালকে গ্রেফতার করে তাদের কাছ থেকে ৯৫ হাজার টাকা মূল্যের রেলওয়ে টিকিট উদ্ধার করেছে। এই সময়ের মধ্যে যাত্রীদের সামগ্রী চুরি করার অভিযোগে ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই সময়সীমার মধ্যে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের আরপিএফ-এর দ্বারা তিন দালালকে গ্রেফতার করা হয়। যখন যেখানে প্রয়োজন হয়েছে তখন সেখানে গভর্মেন্ট রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) ও স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীদের সাথে নিয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। এই অভিযানগুলির সময় ৯৫,২১৯.৫৫ টাকা (আনুমানিক) মূল্যের ৩৪টি টিকিট উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি যাত্রীদের সামগ্রী চুরি করার অভিযোগে ১৭ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে রেলওয়ে আইনের প্রাসঙ্গিক ধারার অধীনে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
২৭ জুন রঙিয়ার আরপিএফ টিম অসমের খারুপেটিয়া শহরে অবস্থিত ‘এনএইচ এন্টারপ্রাইজ’-এ অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫৯,১৯২.১০ টাকা মূল্যের ১৮টি ই-টিকিট উদ্ধার করে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এক দালালকে আটক করে। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য রাঙাপাড়া নর্থ রেলওয়ে আইনের ১৪৩ ধারার অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
১৬ জুন কাটিহারের আরপিএফ টিম কাটিহারের সিপিডিএস টিমের সাথে যৌথভাবে কাটিহার রেলওয়ে স্টেশনে ১৫৯০৯ নম্বর ট্রেনে অভিযান চালিয়ে তিন ব্যক্তিকে আটক করে তাদের কাছ থেকে ৪৫,০০০ টাকা (আনুমানিক) মূল্যের তিনটি চুরির মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। পরে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন সহ ধৃত ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট জিআরপি ইনচার্জের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
রেলওয়ে টিকিটের অকর্তৃত্বশীল ও অবৈধ ক্রয়-বিক্রয়ের প্রতি কঠোর নজরদারি রাখার পাশাপাশি, উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের আরপিএফ রেল যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি রেল ব্যবহারকারীদের পরিষেবা ও সাহায্য প্রদানের জন্য সবসময় প্রস্তুত। ট্রেন যাত্রার সময় যাতে কোনওধরনের সমস্যার সম্মুখীন না-হতে হয় তার জন্য যাত্রীদের উপযুক্ত টিকিটের সাথে ভ্রমণ করার অনুরোধ জানিয়েছেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলের যাত্রীরা ট্রেন যাত্রার সময় কোনও সমস্যার সন্মুখীন হলে ১৩৯ (টোল ফ্রি) নম্বরে ডায়াল করতে পারেন।
(শেষ)
হিন্দুস্থানের খবর / স্নিগ্ধা দাস / সমীপ কুমার দাস
