শ্রীলঙ্কার মতো সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা ছিল সন্ত্রাসীদের, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারকে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা
শ্রীলঙ্কার মতো সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা ছিল সন্ত্রাসীদের : প্রধানমন্ত্রী
Indian High Comm to Bangladesh Pranoy Verma and PM Sheikh Hasina


।। রাজীব দে ।।

ঢাকা, ১ আগস্ট (হি.স.) : কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে সাম্প্রতিক সহিংস, অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে শ্রীলঙ্কার মতো সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা ছিল সন্ত্রাসীদের, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভার্মাকে তিনি বলেছেন, এটা কোনও সাধারণ আন্দোলন ছিল না, দেশকে অস্থির করতে সুপরিকল্পিত সন্ত্রাসী কর্মসূচি ছিল।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব মহম্মদ নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করে এ খবর দিয়ে জানান, বুধবার গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এ কথা বলেন।

উভয়ের মধ্যে আলোচিত বিষয়ে প্রেসসচিব জানান, ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ছাত্রদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী আক্রমণ চালানো হয়েছিল।

সাম্প্রতিক সহিংসতায় জীবন ও সম্পদহানির কথা দুঃখের সঙ্গে উল্লেখ করে বলেন, ‘তারা (বিশৃঙ্খলাকারী) তো আসলে শ্রীলঙ্কা টাইপ সহিংসতা এবং সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করেছিল।’

সব শুনে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সহিংসতায় জীবন ও সম্পদহানির ঘটনায় খেদ ও শোক ব্যক্ত করেছেন। ধারাবাহিকভাবে পরিস্থিতির স্বাভাবিক হওয়া এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসাকে স্বাগত জানান প্রণয় ভার্মা।

ভারতের হাইকমিশনার বলেন, ‘ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে ভারত সবসময় বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের ভিশন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিকে সমর্থন করে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফর প্রসঙ্গে প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সফল সফর অর্থবহ ফলাফল অর্জন করেছে এবং যা অতীতের অর্জনকে সুসংহত করেছে। ভবিষ্যতে সহযোগিতার একটা ব্লু-প্রিন্ট তৈরি হয়েছে।’

হাইকমিশনার আরও বলেন, ‘দুই দেশের যে জাতীয় ডেভেলপমেন্ট ভিশন, বাংলাদেশের ২০৪১ এবং ভারতের ২০৪৭ ভিশনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সহযোগিতার একটা নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। ডিজিটাল ও গ্রিন অংশীদারিত্ব, স্যাটেলাইটের যৌথ উন্নয়ন, ব্লু-ইকোনমি, ওশানোগ্রাফি, ফিনটেক সহ নতুন নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা হবে।’

আঞ্চলিক কানেকটিভিটি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, নেপাল ও ভুটান, এই চার দেশের মধ্যে কানেক্টিভিটি জোরালো করতে আমার সব দরজা খোলা।’

ভারতের রাষ্ট্রদূত এবং প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা পর্বে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, অ্যাম্বাস্যাডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মোহম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়াঁ প্রমুখ।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস / অরবিন্দ




 

 rajesh pande