গন্ডাছড়া (ত্রিপুরা), ১ আগস্ট (হি.স.) : বহু বাধা অতিক্রম করে আজ বৃহস্পতিবার ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমায় হিংসায় বিধ্বস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করলেন সিপিএম ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক তথা বিধায়ক জিতেন চৌধুরীর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল।
প্রসঙ্গত, ৭ জুলাই আনন্দমেলার আনন্দ নিতে গিয়ে পরমেশ্বর রিয়াং নামের এক যুবক জনাকয়েক যুবকের হাতে মার খেয়ে গুরুতর আহত হয় এবং পরবর্তী সময়ে আহত পরমেশ্বর রিয়াংকে কুলাই হাসপাতালে ও পরে পাঠানো হয় জিবিপি হাসপাতালে। ১২ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় পরমেশ্বর রিয়াং-এর। ওই রাতেই কিছু দুষ্কৃতকারী পরমেশ্বর রিয়াং-এর মৃত্যুর জন্য গন্ডাছড়া মহকুমার হরিপুর, সাতকার্ড, বিশকার্ড, দুর্গাপুর, ত্রিশকার্ড, মনোরঞ্জনদাস পাড়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম, বাজার এবং বাড়িঘরে লুটতরাজ ও অগ্নিসংয়োগ করে। এতে প্রায় শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে যায়।
নামেমাত্র খোলা হয় শরণার্থী শিবির। আশ্রয় নেন প্রায় ৪০০ জন ছোট বড় লোকজন। ১৩ জুলাই থেকে গন্ডাছড়া মহকুমার ওই বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য চেষ্টা করেও বিফল হয়েছেন সিপিএম নেতৃত্ব। শেষ পর্যন্ত গৃহ দফতরের অনুমতি নিয়ে প্রবল বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার গন্ডাছড়া মহকুমায় পৌঁছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সহ অন্যান্য নেতারা।
আজ দুপুরের দিকে গন্ডাছড়া মহকুমায় পৌঁছেই প্রয়াত পরমেশ্বর রিয়াং-এর বাড়িতে যান জিতেন চৌধুরী সহ প্রতিনিধিরা। দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা শেষে প্রয়াতের পরিবার পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান জিতেন চৌধুরী।
এর পর একে একে বিধ্বস্ত এলাকা বিশকার্ড, সাতকার্ড, হরিপুর, ত্রিশকার্ড এবং সর্বশেষ অস্থায়ী শিবিরে গিয়ে আবাসিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিপিএম রাজ্য কমিটি সম্পাদক তথা বিধায়ক জিতেন চৌধুরী।
উল্লেখ্য, সিপিএম প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী, প্রাক্তন বিধায়ক সুধন দাস, দলের নেতা নয়ন সরকার, সুব্রত সরকার, প্রাক্তন বিধায়ক ললিতমোহন ত্রিপুরা, দলের গন্ডাছড়া মহকুমা সম্পাদক ধনঞ্জয় ত্রিপুরা প্রমুখ।
রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী অভিযোগ করেন, ঘটনাটি প্রশাসনিক সকলের জ্ঞাতসারেই সংগঠিত হয়েছে। তবে জাতি-জনজাতি সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে সুষ্ঠু সমাজ গড়ার জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ / সমীপ কুমার দাস