ত্রিপুরার পর্যটন ক্ষেত্রের উন্নয়নে পাঁচ বছরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে : পর্যটনমন্ত্রী
আগরতলা, ১৩ জানুয়ারি (হি.স.) : ত্রিপুরার পর্যটন ক্ষেত্রের পরিকাঠামো উন্নয়নে গত পাঁচ বছরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। রাজ্যে স্বদেশ দর্শন প্রকল্পের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সোমবার রাজ্য বিধানসভা
পর্যটনমন্ত্রী


আগরতলা, ১৩ জানুয়ারি (হি.স.) : ত্রিপুরার পর্যটন ক্ষেত্রের পরিকাঠামো উন্নয়নে গত পাঁচ বছরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। রাজ্যে স্বদেশ দর্শন প্রকল্পের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সোমবার রাজ্য বিধানসভায় সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতক বিধায়ক কল্যাণী সাহা রায়ের আনীত একটি দৃষ্টি আকর্ষণী নোটিশের উত্তরে একথা বলেন পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।

বিধানসভায় পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, আগামীদিনে ভারতবর্ষের পর্যটন মানচিত্রে ত্রিপুরা এক অনন্য স্থান অর্জন করতে সক্ষম হবে। ৫১ পীঠের এক পীঠ ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির, নীরমহল, ডম্বর ও ছবিমুড়াকে সাজিয়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে চলেছে। রাজ্যের পর্যটনস্থলগুলিতে অবস্থিত জলাশয়গুলিতে ব্যবহারের জন্য ইতিমধ্যে ৫০টি বোট এবং দুটি আধুনিক বাস ক্রয় করা হয়েছে। আধুনিক পর্যটনের সমস্ত ব্যবস্থা ত্রিপুরায় রয়েছে।

বিধানসভায় পর্যটনমন্ত্রী জানান, স্বদেশ দর্শন ১.০ প্রকল্পের মাধ্যমে আগরতলা, সিপাহীজলা, মেলাঘর, উদয়পুর, অমরপুর, মন্দিরঘাট, তীর্থমুখ, নারিকেলকুঞ্জ, ডম্বুর, আমবাসা, নীরমহল এবং বড়মুড়া ইত্যাদি পর্যটন কেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শেষ হয়েছে। মাতা ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরকে একটি আধ্যাত্মিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পর্যটন মন্ত্রক কর্তৃক প্রসাদ প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৭.৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে মন্দিরের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। রাজ্যের পর্যটন পরিকাঠামো বিকাশের লক্ষ্যে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় ছবিমুড়া, কৈলাসহরের সোনামুখী এলাকা, চতুর্দশ দেবতা মন্দির এবং কসবা কালী মন্দির চতুরের পর্যটন পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / Subhash Chandra Das




 

 rajesh pande