বুধবার চুনী গোস্বামীর জন্মদিন 
কলকাতা, ১৪ জানুয়ারি (হি.স.): চুনী গোস্বামী। এই বিখ্যাত বাঙালি ফুটবল খেলোয়াড় ভারতীয় ফুটবলে এক সাড়া জাগানো নাম। তিনি ভারতের জাতীয় দলের একজন সফল ফুটবলার। বাংলার ক্রিকেটার হিসেবেও সফল ছিলেন। বাংলা দলের হয়ে রনজি ট্রফিতে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। চুনী
জাকার্তা এশিয়ান গেমসের সোনাজয়ী অধিনায়কের আগামীকাল জন্মদিন


কলকাতা, ১৪ জানুয়ারি (হি.স.): চুনী গোস্বামী। এই বিখ্যাত বাঙালি ফুটবল খেলোয়াড় ভারতীয় ফুটবলে এক সাড়া জাগানো নাম। তিনি ভারতের জাতীয় দলের একজন সফল ফুটবলার। বাংলার ক্রিকেটার হিসেবেও সফল ছিলেন। বাংলা দলের হয়ে রনজি ট্রফিতে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।

চুনী গোস্বামী বর্তমান বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন ১৫ জানুয়ারি ১৯৩৮ সালে। আসল নাম সুবিমল গোস্বামী।

১৯৪৬ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত মোহনবাগানের জুনিয়র দলে খেলেন। এই সময় তিনি ভারতীয় ফুটবলার বলাইদাস চট্টোপাধ্যায় ও বাঘা সোমকে কোচ হিসেবে পেয়েছিলেন। এরপর ১৯৫৪ থেকে ১৯৬৮ অবধি মোহনবাগানের সিনিয়র দলে খেলেছেন। তিনি স্ট্রাইকার পজিসনেই খেলতেন। ১৯৬০ থেকে ১৯৬৪ সাল এই পাঁচ বছর মোহনবাগানের অধিনায়ক ছিলেন। এই সময়ে মোহনবাগানের হয়ে ডুরান্ড কাপ সহ বহু প্রতিযোগিতায় খেলেছেন। তার ফুটবল জীবনের সব থেকে বড় কৃতিত্ব ভারতের অধিনায়ক হিসাবে ১৯৬২ সালে জাকার্তায় এশিয়ান গেমসের সোনা জয়। ফাইনালে ভারত দক্ষিণ কোরিয়াকে ২-১ গোলে পরাস্ত করেছিল। এছাড়া তিনি অধিনায়ক হিসাবে তেল আভিভে এশিয়া কাপের রৌপ্য পদক জয় করেছিলেন। ভারতের হয়ে ৩২ টি ম্যাচ খেলে ন'টি গোল করেছিলেন চুনী গোস্বামী। ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৯ তিনি টাটা ফুটবল একাডেমির ডিরেক্টর ছিলেন।

শুধু ফুটবলে নয়, ক্রিকেটার হিসাবে সফল ছিলেন চুনী গোস্বামী ৷ বাংলা দলের হয়ে রনজি ট্রফিতে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন ৷ রঞ্জি ট্রফিতে তিনি বাংলার অধিনায়কত্বও করেন। তিনি দুবার রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল খেলেছিলেন। ছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ডানহাতে মিডিয়াম পেস বলও করতেন। ৪৬টি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট ম্যাচ খেলে একটি সেঞ্চুরি সহ ১৫৯২ রান করেছিলেন। বল করে ৪৭টি উইকেটও নিয়েছিলেন।

১৯৬৩ সালে চুনী গোস্বামী অর্জুন পুরস্কার ও ১৯৮৩ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হন ৷ ২০০৫ সালে তিনি হন মোহনবাগান

রত্ন৷

৩০ এপ্রিল, ২০২০ সালে ৮২ বছর বয়েসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় মারা যান চুনী গোস্বামী। ভারতের ফুটবল ইতিহাসে তার নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / শান্তি রায়চৌধুরি




 

 rajesh pande