ফলতা, ১৫ জানুয়ারি (হি.স.): বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার ফলতায় সেবাশ্রয় স্বাস্থ্য শিবির পরিদর্শনের সময় ‘নীতিই রাজনীতি’র বার্তা দিয়ে জনমুখী শাসনের অঙ্গীকার তুলে ধরলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ২ জানুয়ারি ডায়মন্ড হারবারের এসডিও মাঠে সেবাশ্রয় শিবির উদ্বোধনের পর থেকেই ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। প্রথম দিনেই পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ নাম নথিভুক্ত করেন। ১০ দিনের মধ্যে ৪১টি শিবিরে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করেছেন।
সাংসদ বলেন, ‘‘প্রথমে আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম যে প্রতিটি শিবিরে হয়তো ১০০-১৫০ জন মানুষ আসবেন। কিন্তু এক একটি শিবিরে দৈনিক ১,০০০-১,২০০ জন পর্যন্ত নাম নথিভুক্ত হয়েছে। ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত আমরা প্রায় ৮০,০০০ নাম নথিভুক্ত করেছি। শুধু ডায়মন্ড হারবার নয়, দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি এমনকি খানাকুল, আরামবাগ থেকেও মানুষ শিবিরে চিকিৎসার জন্য এসেছেন।’’ এখনও পর্যন্ত শিবিরে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ও মেরুদণ্ডের জটিল চিকিৎসার মতো বিশেষ ক্ষেত্রে বহু রোগীকে পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। এক শিশুকে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সেইসঙ্গে মেরুদণ্ড সমস্যায় ভোগা আরেক শিশুর জন্য ফিজিওথেরাপির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১০ দিন ধরে চলবে এই থেরাপি, প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের মত নেওয়া হবে।
অভিষেক বলেন, ‘‘আমাদের প্রচেষ্টায় যদি মানুষের উপকার হয়, সেটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সবরকম সহযোগিতা করছি। যদি কোনও ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সমাধান না দিতে পারি, সেটাও জানিয়ে দেব।’’ তিনি আরও জানান, আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে বিষ্ণুপুরে শিবির শুরু হবে। এরপরে মেটিয়াবুরুজ, সাতগাছিয়া, বজবজ ও মহেশতলায় হবে সেবাশ্রয় শিবির। মার্চ মাসে একটি মেগা শিবিরের আয়োজন করা হবে। এছাড়া ১৬ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত মোট ২৮০টি ফলো-আপ শিবির একযোগে চলবে। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর সমালোচনার প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, ‘‘২০১১ সালের পর থেকে রাজ্য সরকার বহু মেডিকেল কলেজ ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি করেছে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা পাচ্ছেন।’’ জনসেবার অঙ্গীকার নিয়ে সাংসদ বলেন, ‘‘আমি কোনও নির্বাচনী বছরে নয়, বরং জনসেবাকে কর্তব্য মনে করেই এই উদ্যোগ নিয়েছি। রাজনীতি ক্ষমতার জন্য নয়, নীতির জন্য হওয়া উচিত।’’
হিন্দুস্থান সমাচার / এ. গঙ্গোপাধ্যায়