গুয়াহাটি, ৪ জানুয়ারি (হি.স.) : গত বছর ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর গ্রেটার কোচবিহার পিপলস্ অ্যাসোসিয়েশন আহূত আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের জোরাই রেলওয়ে স্টেশনে রেল অবরোধের ফলে ট্রেন পরিষেবায় ব্যাঘাতের সৃষ্টি হয়েছিল। ৫০০০-এর বেশি আন্দোলনকারী জোরাই স্টেশন চত্বরে জমায়েত হয়ে সমস্ত লাইন ব্লক করেছিলেন। এর ফলে রেল অবরোধ ঘটে, একাধিক ট্রেন বাতিল করার পাশাপাশি বিকল্প রুট দিয়ে একাধিক ট্রেনের পথ পরিবর্তন করা হয়। এতে ট্রেন যাত্রীদের ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল।
অবরোধের নামে আন্দোলনকারীরা ব্যাপক উপদ্রব সৃষ্টি করে রেলওয়ের কাজে বাধার সৃষ্টি করেন। অবরোধ সম্পূর্ণভাবে অকর্তৃত্বশীলভাবে করা হয়েছিল এবং আন্দোলনকারীরা ট্রেন চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে যাত্রীদের সুরক্ষা বিপন্ন করার পাশাপাশি রেলওয়ে চত্বরে প্রবেশ করে বেশ কয়েকটি আইন ভঙ্গ করেছেন। কর্তব্যরত আরপিএফ, জিআরপি এবং স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকরা বেশ কয়েকবার পিএ সিস্টেম, লাউডস্পিকারের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের আন্দোলন প্রত্যাহার করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। নিৰ্দেশে কৰ্ণপাত না করায় আন্দোলনকারীদের প্রতিরোধ করার চেষ্টাও করেছিলেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীরা। কিন্তু আন্দোলনকারীরা রেলওয়ে ট্র্যাক থেকে অবরোধ তুলে নিতে অস্বীকার করেন।
কর্তব্যরত সুরক্ষা কর্মীদের গৃহীত সমস্ত পদক্ষেপ আইন অনুযায়ী নেওয়া হয়। বলপূর্বক রেল অবরোধের ফলে আনুমানিক ৫.৬১ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে রেলওয়েকে। অবরোধের ফলে আর্থিক ক্ষতি সংগঠিত হওয়ায় রেলওয়ের পক্ষ থেকে ওই দিন আন্দোলনের নেতৃত্ব প্রদানকারী কয়েকজন জিসিপিএ নেতাকে সিজেএম / আলিপুরদুয়ারের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। উপযুক্ত সময় ক্ষতিপূরণ না দিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রেলওয়েকে আন্দোলনকারী গোষ্ঠীদের জন্য একটি কোমল লক্ষ্য হিসেবে দেখা হয়। যদিও ওই গোষ্ঠীটির দাবিগুলি কোনওভাবেই রেলওয়ের সাথে সম্পৃক্ত নয়। এ ধরনের গোষ্ঠী কর্তৃক সংগঠিত অপরাধগুলি অত্যন্ত গুরুতর এবং এর সুদূরপ্রসারী পরিণতির ফলে যাত্রীদের সুরক্ষা প্রত্যক্ষভাবে বিপদের মুখে পড়ে। রেলওয়ে সর্বদা নিজের যাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার প্রতি আস্থা বজায় রাখার জন্য কাজ করে আসছে এবং রেলওয়েকে সহজ লক্ষ্য হিসেবে মনে করার জন্য এ ধরনের গোষ্ঠীগুলির অবৈধ দাবিগুলিকে কখনও অনুপ্রাণিত করে না। আজ শনিবার এক প্রেস বার্তায় এ খবর দিয়েছেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস