পাঠ্যপুস্তক-নির্ভরতা কাটিয়ে শিশু-কেন্দ্রিক, হাতে-কলমে শিক্ষার আহ্বান কাছাড়ের এডিসি অন্তরার
শিলচর (অসম), ১৮ অক্টোবর (হি.স.) : এখন শিক্ষা শুধু বই নয়, জীবন শেখার শিল্প। পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীলতা কাটিয়ে শিশু-কেন্দ্রিক, হাতে-কলমে শিক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন কাছাড় জেলার শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা আয়ুক্ত অন্তরা সেন। শিলচরে
আর্লি চাইল্ডহুড কেয়ার অ্যান্ড এডুকেশন আবাসিক প্রশিক্ষণ শিবিরের সমাপনী অনুষ্ঠান


শিলচর (অসম), ১৮ অক্টোবর (হি.স.) : এখন শিক্ষা শুধু বই নয়, জীবন শেখার শিল্প। পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীলতা কাটিয়ে শিশু-কেন্দ্রিক, হাতে-কলমে শিক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন কাছাড় জেলার শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা আয়ুক্ত অন্তরা সেন।

শিলচরের ইলোরা হোটেল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত পাঁচদিনব্যাপী ‘আর্লি চাইল্ডহুড কেয়ার অ্যান্ড এডুকেশন’ আবাসিক প্রশিক্ষণ শিবিরের সমাপনী অনুষ্ঠানে অনুপ্রেরণামূলক বক্তৃতা পেশ করেছেন অতিরিক্ত জেলা আয়ুক্ত অন্তরা সেন। তিনি শিক্ষার মূল লক্ষ্য হিসেবে শিশুর আনন্দ, অংশগ্রহণ এবং হাতে-কলমে শেখার গুরুত্ব তুলে ধরেন, যা জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০-এর প্রকৃত চেতনার সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ। আধুনিক শিক্ষার মূলমন্ত্র হিসেবে প্রায়োগিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শিশু-কেন্দ্রিক শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।

নিজের শৈশবের স্মৃতি রোমন্থন করে অন্তরা সেন বলেন, ‘আমাদের সময় শিক্ষা মানে ছিল বইয়ের দীর্ঘ অধ্যায় মুখস্থ করা। শেখা মানে, যা লেখা আছে তা মুখস্থ করে বলা। কিন্তু বুঝে নেওয়া নয়।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণ বদলে গেছে। আজ শিক্ষা শুধু পাঠ্যবই বা ক্লাসরুমের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা বাস্তব অভিজ্ঞতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এখন শিক্ষার লক্ষ্য শিশুদের কৌতূহল, সৃজনশীলতা ও চিন্তাশক্তিকে বিকশিত করা।’

উল্লেখ্য, সমগ্র শিক্ষা, কাছাড়ের উদ্যোগে আয়োজিত এই অঞ্চলভিত্তিক প্রশিক্ষণ শিবিরটি ১৩ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়, যাতে কাছাড়, হাইলাকান্দি ও শ্রীভূমি জেলার ৬৬ জন শিক্ষক অংশ নেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. দুর্বা দেব। কর্মসূচির লক্ষ্য তুলে ধরেন জেলা প্রকল্প আধিকারিক (আইই ও ইসিসিই) রাণারঞ্জন নাথ। প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করেন মূল সংস্থান ব্যক্তিরা, সন্দীপা চক্রবর্তী, নীলাক্ষী দত্ত দুষাদ ও জাহারুল ইসলাম মজুমদার। তাঁরা জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ ও জাতীয় পাঠ্যক্রম কাঠামো ২০২২–এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রশিক্ষণের দিকনির্দেশনা দেন।

শেষ দিনে আয়োজিত ‘ক্লাস ডেমনস্ট্রেশন প্রতিযোগিতা’ অনুষ্ঠানটি বিশেষ আকর্ষণ সৃষ্টি করে, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা অভিনব শিক্ষাদান পদ্ধতি প্রদর্শন করেন। বিচারক ছিলেন অরিন্দম চক্রবর্তী ও চম্পক সাহা।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রেরণাদায়ক বক্তব্য পেশ করেন জেলা প্রশিক্ষণ আধিকারিক গৌতম দেব। সাংস্কৃতিক পর্বে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকরা আবৃত্তি, গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande