দুর্গাপুর, ১৮ অক্টোবর (হি.স.): রাজ্যে ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে দুর্গাপুরে বিজেপির ধর্না মঞ্চ থেকে বিতর্কিত মন্তব্য করে শোরগোল তুললেন বিজেপি নেত্রী চন্দনা বাউড়ি ও কলকাতার কাউন্সিলর সজল ঘোষ।
বাঁকুড়ার শালতোরার বিধায়িকা চন্দনা বাউড়ি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বলেছেন রাত ৮টার পর বেরোবেন না। যদি বেরোন, নিজের দায়িত্বে। তাই আমি বলব, মহিলারা আত্মরক্ষার জন্য ব্লেড, ছুরি সঙ্গে রাখুন।”
এদিকে, বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ আরও একধাপ এগিয়ে বলেন, “রাত ৮টার পর যদি কেউ বাইরে বেরোন, তাহলে রান্নাঘরের ছুরি কিংবা লঙ্কার গুঁড়ো সঙ্গে রাখুন।”
মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে সজল ঘোষ আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আপনার নাতনিও বড় হচ্ছে। আপনি যখন ক্ষমতায় থাকবেন না, তখন ভগবান না করুন, যদি এরকম কোনও ঘটনা ঘটে, তখনও কি আপনি আজকের মতো মন্তব্য করতে পারবেন?”
তিনি অভিযোগ করেন, “কামদুনি থেকে পার্কস্ট্রিট, দুর্গাপুর—সব জায়গায় অপরাধীরা একই দলের। যদি উল্টো হত, তাহলে শহরে কার্ফু জারি হয়ে যেত। জনগণ আন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে।”
বিজেপি নেত্রী মাফুজা খাতুন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তদন্তের আগে মন্তব্য করে তদন্তকে প্রভাবিত করছেন। এতে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সম্পূর্ণ ব্যর্থ।”
অন্যদিকে, পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, “বিজেপি নেতারা শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার উস্কানি দিচ্ছেন। ওরা শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে।”
এ প্রসঙ্গে এনসিআরবি-র রিপোর্টে কলকাতাকে দেশের অন্যতম নিরাপদ শহর হিসেবে দেখানো নিয়ে সজল ঘোষের বক্তব্য, “অপরাধ হচ্ছে, কিন্তু রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে না। যদি সব রাজ্য এই পদ্ধতি মেনে চলে, তাহলে গোটা দেশের অপরাধের হারই শূন্য দেখানো যাবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকেও ভুল বা কম তথ্য পাঠানো হয়, তাই প্রকৃত পরিসংখ্যান সামনে আসে না।”
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা