রেলের মাধ্যমে ত্রিপুরায় অস্ত্র ও নেশা দ্রব্য চোরাচালানের আশঙ্কা, তদন্তের দাবি কংগ্রেসের
আগরতলা, ২৭ অক্টোবর (হি.স.) : রেল ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে ত্রিপুরায় নেশা দ্রব্য ঢুকছে—এই অভিযোগকে সামনে এনে অস্ত্র চোরাচালানের সম্ভাবনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল প্রদেশ কংগ্রেস। সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে দলের মুখপাত্র প্রবীর চক্রবর্তী বলেন, যদ
সাংবাদিক সম্মেলন


আগরতলা, ২৭ অক্টোবর (হি.স.) : রেল ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে ত্রিপুরায় নেশা দ্রব্য ঢুকছে—এই অভিযোগকে সামনে এনে অস্ত্র চোরাচালানের সম্ভাবনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল প্রদেশ কংগ্রেস।

সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে দলের মুখপাত্র প্রবীর চক্রবর্তী বলেন, যদি মাদক কারবারিরা রেলের বগিকে ব্যবহার করে সহজেই নেশা দ্রব্য আমদানি করতে পারে, তবে সন্ত্রাসবাদী বা অস্ত্র ব্যবসায়ীরাও একই পথ অনুসরণ করে অস্ত্র রাজ্যে ঢোকাতে পারে। তাই বিষয়টি নিয়ে অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজন।

প্রবীর চক্রবর্তী জানান, রাজ্যে নেশা কারবার ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে এবং তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তিনি দাবি করেন, এক সমীক্ষা অনুযায়ী রাজ্যের বেকার যুবকদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ মাদকাসক্ত এবং সাধারণ মানুষের মধ্যেও এই হার ৬৫ শতাংশ। তাঁর অভিযোগ, “একদিকে ধর্মীয় উন্মাদনার পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে, আর অন্যদিকে যুব সমাজকে নেশার জালে ফেলে মূল সমস্যা থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হচ্ছে।”

কংগ্রেস মুখপাত্র আরও আশঙ্কা ব্যক্ত করেন যে, নেশা কারবারি এবং অস্ত্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগসূত্র থাকতে পারে। তাই রেলপথকে ব্যবহার করে মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান রুখতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি সতর্ক করে বলেন, সরকার এবং প্রশাসন যদি নেশার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়, তবে প্রদেশ কংগ্রেস সমগ্র রাজ্যে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবে।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande