দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে আগরতলায় কর্মশালা, গো-পালকদের স্বনির্ভরতার বার্তা
আগরতলা, ২৭ অক্টোবর (হি.স.) : ত্রিপুরায় দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গো-পালক কৃষকদের নিয়ে “সাকার সে সমৃদ্ধি” শীর্ষক এক বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করল গোমতী কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রডিউসার্স ইউনিয়ন লিমিটেড। নাবার্ড এবং ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (এনড
আগরতলায় কর্মশালা


আগরতলা, ২৭ অক্টোবর (হি.স.) : ত্রিপুরায় দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গো-পালক কৃষকদের নিয়ে “সাকার সে সমৃদ্ধি” শীর্ষক এক বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করল গোমতী কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রডিউসার্স ইউনিয়ন লিমিটেড। নাবার্ড এবং ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (এনডিডিবি)-এর সহযোগিতায় সোমবার রাজধানীর মুক্তধারা প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হয় এই কর্মশালা।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন এনডিডিবি-র উত্তর পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সব্যসাচী রায়সহ নাবার্ডের অন্যান্য আধিকারিকরা। কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল গোপালকদের আধুনিক পদ্ধতিতে গরুর পরিচর্যা, সুষম গোখাদ্য ব্যবহার, দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি, দুগ্ধ সমিতি পরিচালনা ও কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়া।

গোমতী কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রডিউসার্স ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রতন ঘোষ জানান, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আত্মনির্ভর বিকশিত ভারত গঠনের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে গো-পালকদের উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বিকশিত ভারতে কৃষক ও গোপালকদেরও সমান ভূমিকা রয়েছে।”

বর্তমানে রাজ্যে মোট ১৭৯টি দুগ্ধ সমিতির অধীনে ৬২০৪ জন প্রাণী পালক যুক্ত রয়েছেন। দুগ্ধ উৎপাদন বাড়াতে এই সংখ্যাকে বাড়িয়ে দশ হাজারে উন্নীত করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। কিভাবে আরও বেশি গোপালককে এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত করা যায়, সেই বিষয়েও কর্মশালায় বিস্তারিত আলোচনা হয়।

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞরা জানান, সঠিক প্রশিক্ষণ ও সরকারি প্রকল্পগুলির সুষ্ঠু প্রয়োগের মাধ্যমে রাজ্যের দুগ্ধ খাত আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। রাজ্যের অর্থনীতিতে দুধ উৎপাদক গোপালকদের ভূমিকা আরও দৃঢ় করতে এই কর্মশালা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande