
গুয়াহাটি, ২৮ অক্টোবর (হি.স.) : দু-বছর পাঁচ মাস পর আজ মঙ্গলবার গৌহাটি হাইকোর্টে জামিন পেয়েছেন দত্তকপ্ৰাপ্ত শিশুসন্তানকে নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত ডা. ওয়ালিউল ইসলাম। মামলায় আসামিকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার জন্য দুই জামিনদারকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট এক লক্ষ টাকা আদালতে জামানত দিতে হয়েছে। তবে তাঁর পত্নী ডা. সংগীতা দত্তের জামিন মঞ্জুর করেনি আদালত।
উল্লেখ্য, দত্তক শিশুসন্তানকে নিৰ্যাতনের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৫ মে ডা. ওয়ালিউল ইসলামকে গ্ৰেফতার করেছিল পল্টনবাজার পুলিশ। তার পরের দিন ৬ মে মধ্যরাতে খানাপাড়ায় গ্ৰিনউড রিজোৰ্টের পেছনে জনৈক বান্ধবীর ঘরে আত্মগোপনকারী ডা. সংগীতা দত্তকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্ৰেফতারের ৫৮ দিনের মাথায় ৪ জুলাই (২০২৩) গুয়াহাটির ‘দ্য প্রটেকশন অব চিল্ড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেনসেস’ (পোকসো)-র বিশেষ আদালতে অভিযোগনামা দাখিল করেছিল পুলিশ। আদালতে দাখিলকৃত অভিযোগনামায় পুলিশ মোট পাঁচজনকে অভিযুক্ত করেছিল। তাঁরা ডা. সংগীতা দত্ত, ডা. ওয়ালিউল ইসলাম, উৎপলা বসু, পরিচারিকা লক্ষ্মী রায় সহ এক ব্যক্তিগত সহায়ক।
এছাড়া গত বছর ২০২৪ সালের ২৩ মে মাসে বিতৰ্কিত চিকিৎসক দম্পতি ডা. ওয়ালিউল ইসলাম এবং ডা. সংগীতা দত্তের বিরুদ্ধে গৌহাটি মেট্রো চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে চূড়ান্ত অভিযোগনামা দাখিল করেছিল মহানগর পুলিশ।
বিগত দু-বছরে সংগীতা দত্ত এবং ওয়ালিউল ইসলাম বেশ কয়েকবার জামিনের আবেদন করেছিলেন, কিন্তু সবগুলি আবেদন না-মঞ্জুর করেছিল আদালত।
চিকিৎসক দম্পতির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭, ৩২৫, ৩২৬, ৩৪১, ৩৪, ৫০৬, ৩০৭ (৫/৮০) জামিনবিহীন ধারায় ২০১/২০১৩ নম্বরে এবং জুভেনাইল জাস্টিস (কেয়ার অ্যান্ড প্রটেকশন অব চিল্ড্রেন) অ্যাক্ট ২০১৫-এর ৭৫ নম্বর ধারায় ১৯৩/২৩ নম্বরে মামলা রুজু করা হয়েছে।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস