ঐক্য, মর্যাদা ও সামগ্রিক উন্নয়নই ভগবান বিরসা মুণ্ডাকে প্রকৃত শ্রদ্ধা : মন্ত্রী কৌশিক
কাছাড়ের লক্ষ্মীপুরে জাঁকজমকপূর্ণ জনজাতীয় গৌরব দিবস উদযাপিত শিলচর (অসম), ১৫ নভেম্বর (হি.স.) : ঐক্য, মর্যাদা ও সামগ্রিক উন্নয়নই ভগবান বিরসা মুণ্ডাকে দেওয়া প্রকৃত শ্রদ্ধা, বলেছেন খাদ্য, গণবণ্টন ও ভোক্তা বিষয়ক, খনি ও খনিজ এবং বরাক উপত্যকা উন্নয়ন
অনুষ্ঠানে ভষণ দিচ্ছেন মন্ত্রী কৌশিক রায়


কাছাড়ের লক্ষ্মীপুরে জাঁকজমকপূর্ণ জনজাতীয় গৌরব দিবস উদযাপিত


কাছাড়ের লক্ষ্মীপুরে জাঁকজমকপূর্ণ জনজাতীয় গৌরব দিবস উদযাপিত

শিলচর (অসম), ১৫ নভেম্বর (হি.স.) : ঐক্য, মর্যাদা ও সামগ্রিক উন্নয়নই ভগবান বিরসা মুণ্ডাকে দেওয়া প্রকৃত শ্রদ্ধা, বলেছেন খাদ্য, গণবণ্টন ও ভোক্তা বিষয়ক, খনি ও খনিজ এবং বরাক উপত্যকা উন্নয়ন বিভাগের মন্ত্রী কৌশিক রায়। আজ শনিবার ফুলেরতল মাল্টিপারপাস হল-এ আয়োজিত কাছাড় জেলার জনজাতীয় গৌরব দিবস-এর অনুষ্ঠানে উপচেপড়া জনতার উদ্দেশে মন্ত্রী কৌশিক রায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা পেশ করেছেন।

কাছাড় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে লক্ষ্মীপুর সম-জেলার বিভিন্ন এলাকার জনজাতীয় নেতা, সাধারণ নাগরিক, ছাত্রছাত্রী, সরকারি কর্মকর্তা এবং যুবসমাজ উপস্থিত ছিলেন। ভাষণে মন্ত্রী বিরসা মুণ্ডাকে “এক অসাধারণ বীর, যার অধিকার ও মর্যাদার জন্য নির্ভীক সংগ্রাম আজও জাতির উন্নয়নের পথনির্দেশ করে” বলে অভিহিত করেন।

অসমের বিভিন্ন স্থানে ১ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত উদযাপিত জনজাতীয় গৌরব পাখোয়াড়ার সঙ্গে এই অনুষ্ঠানকে যুক্ত করে মন্ত্রী রায় ব্যাপক জন-অংশগ্রহণ এবং প্রশাসনের লক্ষ্যভিত্তিক জনজাতি-কেন্দ্রিক কর্মসূচির ভূয়সী প্রশংসা করেন। স্বাস্থ্য শিবির থেকে শুরু করে আর্থিক সচেতনতা শিবির, গণশুনানি অভিযোগ নিষ্পত্তি এবং সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতা কর্মসূচি এ-সব উদ্যোগকে তিনি দায়িত্বশীল ও সামগ্রিক উন্নয়নের এক অনুকরণীয় উদাহরণ বলে মন্তব্য করেন।

দিনের শুরুতে স্বচ্ছ ভারত অভিযান-এর অধীনে বিভিন্ন জনজাতীয় এলাকায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান দিয়ে উদযাপন শুরু হয়, যা অনুষ্ঠানে এক ইতিবাচক সুর নির্ধারণ করে এবং ফুলেরতল মাল্টিপারপাস হল রূপ নেয় এক বর্ণিল সাংস্কৃতিক মঞ্চে, যেখানে ১৪টি জনজাতীয় স্টলে প্রদর্শিত হয় আদিবাসী হস্তশিল্প, শিল্পকর্ম, ঐতিহ্যবাহী খাদ্যসামগ্রী এবং কারুশিল্প। মৎস্য বিভাগ, আর্থিক সচেতনতা ও আধার পরিষেবা সম্পর্কিত বিভাগের স্টলেও ছিল বিপুল ভিড়, যেগুলোর কয়েকটি উদ্বোধন করেন মন্ত্রী নিজেই।

এদিন মন্ত্রী কৌশিক রায়, জেলাশাসক মৃদুল যাদব এবং অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকগণ ভগবান বিরসা মুণ্ডার প্রতি পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন। ঐতিহ্যবাহী জনজাতীয় খেলা যেমন বাঁশে দাঁড়ানো প্রতিযোগিতা এবং বিভিন্ন আদিবাসী ক্রীড়া অনুষ্ঠানে প্রাণচাঞ্চল্য যোগায়, পাশাপাশি সাংস্কৃতিক দলগুলোর মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা উপত্যকার বৈচিত্র্য ও শিল্প ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তুলে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা উন্নয়ন আধিকারিক নরসিং বে, কাছাড় জিলা পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক প্রণবকুমার বরা, ধ্রুবজ্যোতি পাঠক, সম-জেলা আয়ুক্ত লক্ষ্মীপুর, রুলি দাওলাগপু, সিনিয়র ডেভেলপমেন্ট অফিসার (ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট), বিপ্রজিত দত্ত, লিড ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার (ইউবিআই), শৈলেশ সিং, এ.ই. বিন্নাকান্দি ডেভেলপমেন্ট ব্লক, রাজকুমার রায়, এ.ই.ই. রাজাবাজার ডেভেলপমেন্ট ব্লক, সপ্তজিৎ দে, এ.ই.ই. লক্ষ্মীপুর ব্লক, কিশোর চক্রবর্তী, বিডিও লক্ষ্মীপুর।

অনুষ্ঠানের শেষে প্রায় দশজন জনজাতীয় কৃতী ব্যক্তি, ক্রীড়াবিদ এবং অবদানকারীদের সম্মানিত করা হয়, যারা কাছাড়ের সাংস্কৃতিক পরিচয় ও সমাজ উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। মন্ত্রী ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব তাঁদের সংবর্ধনা প্রদান করেন।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande