হাফলং (অসম), ৯ নভেম্বর (হি.স.) : ডিমা হাসাও জেলার অন্তর্গত হারাঙ্গাজাওয়ের বাহকল জলপ্রপাতে নিখোঁজ এনআইটি শিলচরের বাকি এক ছাত্র এবং ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ-এর ডিপ ডাইভাররা। গতকাল শনিবার ঘটনার দিন বিকালের দিকে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বছর ২০-এর সর্বকৃতিকা সিঙের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। জলে তলিয়ে যাওয়া এনআইটি শিলচরের আরও দুই ছাত্র ও ছাত্রী যথাক্রমে উত্তরপ্রদেশের সৌহার্দ্য রাই (২০) এবং বিহারের বাসিন্দা রাধিকা (১৯)-র মৃতদেহ আজ উদ্ধার করেছেন অভিযানকারীরা।

ডিমা হাসাও জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, গতকাল (শনিবার) এনআইটি শিলচরের কম্পিউটার সায়েন্স (ইংঞ্জিনিয়ারিং)-এর প্রথম বর্ষের সাতজন ছাত্ৰ ও ছাত্রী হারাঙ্গাজাওয়ে বেড়াতে এসেছিলেন। হারাঙ্গাজাওয়ে এসে তাঁরা প্ৰায় তিন কিলোমিটার দূরে বাহকল জলপ্রপাতে যান। জলপ্রপাতে নামার পর গভীর জলে তলিয়ে যান সর্বকৃতিকা সিং, রাধিকা এবং সৌহার্দ্য রাই।

এএসপি ফারুক আহমেদ জানান, তিন ছাত্রছাত্রীর জলে ডুবে সন্ধানহীন হওয়ার খবর পেয়ে হারাঙ্গাজাও থানার ওসি লক্ষ্মীন্দর শইকিয়ার নেতৃত্বে পুলিশ এবং অগ্নিনিৰ্বাপক বহিনী তথা এসডিআরএফ ঘটনাস্থলে যায়। জরুরিভিত্তিতে শিলচর থেকে ডেকে পাঠানো হয় এনডিআরএফকে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে এনডিআরএফ। জলপ্রপাতে সন্ধানহীন দুই ছাত্রী ও এক ছাত্রকে উদ্ধার করতে তাঁরা সম্মিলিতভাবে অভিযান শুরু করেন। সন্ধ্যায় (শনিবার) সর্বকৃতিকা সিঙের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও রাতের অন্ধকার নেমে আসায় বাধ্য হয়ে অভিযান বন্ধ করতে হয়।

আজ রবিবার সকালে সেনাবাহিনী সহ এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ জলপ্রপাতে নেমে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করে। অবশেষে দুপুরের দিকে রাধিকা এবং সৌহার্দ্যের মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হন অভিযানকারীরা।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, তিন ছাত্ৰের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাফলং সিভিল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তিনি জানান, আজ নিহত তিন ছাত্র ও ছাত্রীর বাড়ি থেকে তাঁদের পরিবারের সদস্যরা হাফলং এসেছেন। ময়না তদন্তের পর তিনটি মৃতদেহ তাঁদের পরিবারের কাছে সমঝে দেওয়া হয়েছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / বিশাখা দেব