গোয়ালপাড়ার ১,১৪০ বিঘা জমিতে উচ্ছেদ অভিযান, ধূলিস্যাত অবৈধ ৫৮৮টি পরিবারের বসতবাড়ি
গোয়ালপাড়া (অসম), ৯ নভেম্বর (হি.স.) : গোয়ালপাড়া জেলার অন্তর্গত দহিকাটা সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ১,১৪০ বিঘা জমিতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে অবৈধ ৫৮৮টি পরিবারের বসতবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। জবরদখলমুক্ত ভূমিকে হাতিদের বিচরণ ক্ষেত্র গড়ে তোলা হবে,
গোয়ালপাড়ার দহিকাটা সংরক্ষিত বনাঞ্চলে উচ্ছেদ অভিযানের খণ্ডচিত্র


গোয়ালপাড়া (অসম), ৯ নভেম্বর (হি.স.) : গোয়ালপাড়া জেলার অন্তর্গত দহিকাটা সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ১,১৪০ বিঘা জমিতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে অবৈধ ৫৮৮টি পরিবারের বসতবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। জবরদখলমুক্ত ভূমিকে হাতিদের বিচরণ ক্ষেত্র গড়ে তোলা হবে, জানিয়েছেন রাজ্যের বন বিভাগের বিশেষ মুখ্যসচিব এমকে যাদব।

উচ্ছেদ অভিযানস্থলে জেলাশাসক প্রদীপ তিমুং, ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার তেজস মরিস্বামী, পুলিশ সুপার নবনিত মহন্ত সহ অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্যের বন বিভাগের বিশেষ মুখ্যসচিব এমকে যাদব। তিনি জানান, মাটিয়া রাজস্ব সার্কলের অধীন দহিকাটা সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ১,১৪০ বিঘা (প্রায় ৩৭৬ একর) বনভূমিতে আজ রবিবার ভোর প্রায় ৫:৩০টা থেকে শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান।

এদিনের জবরদখলকৃত বিস্তীৰ্ণ ভূমি থেকে অবৈধভাবে বসবাসকারী ৫৮৮টি পরিবারকে উচ্ছেদ করতে পরিচালিত অভিযান শান্তিপূর্ণভাবে ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে। অভিযানটি গোয়ালপাড়া জেলার সাধারণ এবং পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে পরিচালনা করা হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযানে ২০টির বেশি এক্সক্যাভ্যাটর ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া মোতায়েন করা হয়েছিল ১০০ জনের বেশি নিরাপত্তা কর্মী, জানান এমকে যাদব।

বন বিভাগের বিশেষ মুখ্যসচিব এমকে যাদব জানান, ‘দহিকাটা সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ১,১৪০ বিঘা ভূমিতে অবৈধভাবে দখলকৃত ৫৮৮টি পরিবারকে এক মাস আগে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। আজ পরিচালিত অভিযানের আগেই প্রায় ৭০ শতাংশ পরিবার স্বেচ্ছায় তাঁদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। অবশিষ্ট প্রায় ৩০ শতাংশ দখলদারদের আজ উচ্ছেদ করা হয়েছে। তাঁরা প্রচুর কান্নাকাটি করেছেন, কিন্তু আমরা নিরুপায়, সরকারি জমিকে-তো বেদখলকারীদের কবজা থেকে মুক্ত করতে হবে। অসমের ফরেস্ট রিজার্ভগুলিকে রক্ষা করতে সরকার বদ্ধপরিকর।’

তিনি জানান, ‘পুনরুদ্ধারকৃত এলাকাটি পরিবেশগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি ঐতিহ্যবাহী শ্রীশ্রী সূর্য পাহাড়ের সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া এলাকাটি বুনো হাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আবাসস্থল।’ তাঁর কথায়, ‘আজ আমরা মানুষের জবরদখল থেকে বিস্তীর্ণ এই জমি উদ্ধার করে হাতিদের ফিরিয়ে দিয়েছি। আগামীকাল থেকে আমরা প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পুনরুদ্ধারকৃত এলাকায় বেড়া সংস্থাপনের কাজ শুরু করব। বনভূমি থেকে অপ্ৰয়োজনীয় গাছপালা কেটে নতুন গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande