বঙ্কিমের স্মৃতিরক্ষায় রাজ্যের অবহেলার অভিযোগ তাঁর দুই বংশধরের
কলকাতা, ৯ নভেম্বর (হি.স.): রাজ্য প্রশাসন ঋষি বঙ্কিমচন্দ্রর স্মৃতিবিজড়িত ভবন পুনরুদ্ধারের জন্য অধিগ্রহণ করলেও পরিবারকে স্বাধীনভাবে কিছু করার সুযোগ দেয়নি। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যর সামনে এই অভিযোগ করেন বঙ্কিমচন্দ
বঙ্কিমের স্মৃতিরক্ষায় রাজ্যের অবহেলার অভিযোগ তাঁর দুই বংশধরের


কলকাতা, ৯ নভেম্বর (হি.স.): রাজ্য প্রশাসন ঋষি বঙ্কিমচন্দ্রর স্মৃতিবিজড়িত ভবন পুনরুদ্ধারের জন্য অধিগ্রহণ করলেও পরিবারকে স্বাধীনভাবে কিছু করার সুযোগ দেয়নি। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যর সামনে এই অভিযোগ করেন বঙ্কিমচন্দ্রর অন্যতম বংশধর

সজল চট্টোপাধ্যায়।

সজলবাবু বলেন, “বহুবার বঙ্কিমচন্দ্র গ্রন্থাগারে গিয়ে তিনি দেখেছেন সেটি সবসময় বন্ধ থাকে। একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের লোক অবৈধভাবে সেখানে থাকে। তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রশাসনকে প্রশ্ন করেন, “যদি কোনও রাজনৈতিক দল ১৫০ বছর উদযাপন করে, তবে কেন তাঁদের অপমান করা হল? যদি প্রশাসন সেই গ্রন্থাগার রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের দায়িত্ব থেকে মুক্ত করা উচিত। ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কোনও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নন।”

প্রায় একই সুরে সাহিত্যসম্রাটের অপর বংশধর সুমিত্র চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, “ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কেবল পরিবারের নয়, জাতির সম্পদ।” তিনি জানান যে ‘বন্দে মাতরম’-এর ১৫০ বছর উদযাপন কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি জনগণের অনুষ্ঠান এবং রাজ্য ও স্থানীয় প্রশাসনের এ বিষয়ে অবগত থাকা উচিত ছিল। তিনি দাবি করেন, রাজ্যের গ্রন্থাগার দফতর এই বিষয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট প্রকাশ করুক।

শমীক ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের সামনে একটি ভিডিও দেখান, যেখানে দেখা যায় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে অবৈধভাবে লোকজন বসবাস করছে, বঙ্কিমচন্দ্রের মূর্তির উপর কাপড় শুকানো হচ্ছে, এবং নির্ধারিত সময়েও গ্রন্থাগার বন্ধ রাখা হচ্ছে। এটি কোনওদিন খোলা রাখা হয় না।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande