
হাফলং (অসম), ১৩ ডিসেম্বর (হি.স.) : শিলচর-সৌরাষ্ট্র ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের জাটিঙ্গা থেকে হারাঙ্গাজাও পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার অংশের কাজ ৩১ জানুয়ারির মধ্যে শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্টস ফোরামের সভাপতি ডেভিড কেভম।
শিলচর-সৌরাষ্ট্র ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের নিরিমবাংলো থেকে হারাঙ্গাজাও অংশে ক্ষতিপূরণ ইস্যু নিয়ে গত ৭ ডিসেম্বর অসম মন্ত্রিসভা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ সম্পর্কে ডেভিড কেভম বলেন, এ অঞ্চলের ২৮টি গ্রামের ৮৩৪টি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দিতে অসম মন্ত্রিসভা অনুমোদন জানিয়েছে। দীর্ঘ ১১ বছর পর এই ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। কারণ আরওডব্লিউর বাইরে ক্ষতিপূরণ কেন্দ্রীয় সরকার মিটিয়ে দেবে না বলে কেন্দ্রীয় ভূতল পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মাকে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন।
ডেভিড কেভম বলেন, ক্ষতিপূরণ জমি অধিগ্রহণ বাবদ নয়, এই ক্ষতিপূরণ মহাসড়কের কাজ করতে গিয়ে ওই ২৮টি গ্রামের বাসিন্দাদের কৃষি জমি, বাড়িঘর নষ্ট হয়েছে, সে বাবদ ক্ষতিপূরণ। তিনি বলেন ২০১৪ সাল থেকে এই ক্ষতিপূরণের দাবিতে সড়ক অবরোধ, ধরনা-আন্দোলন করার পর অবশেষে আরওডব্লিউর বাইরে এই অঞ্চলের গ্রামের বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৪ কোটি টাকা মিটিয়ে দিতে রাজ্য মন্ত্রিসভা অনুমোদন জানিয়েছে। বড়দিনের আগেই রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ডেভিড কেভম।
আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে জাটিঙ্গা থেকে হারাঙ্গাজাও পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার অংশের কাজ সম্পন্ন হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে ডেভিড বলেন, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের ভুলের জন্য এই অংশের কাজে বিলম্ব হচ্ছে। তিনি বলেন, রেটজল রেখো দলইচুঙ্গা বড়মলকই এলাকায় জমি অধিগ্রহণ করার পর জমি মালিকদের ক্ষতিপূরণ এখন পর্যন্ত মিটিয়ে না দেওয়ার জেরে জমির মালিকরা কাজে বাধা দিচ্ছেন। তাছাড়া বড়মলকই রেটজল রেখো দলইচুঙ্গা ছোট জাটিঙ্গা এলাকায় কিছু অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহণ করেছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখনও জমি অধিগ্রহণ বাবদ ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেয়নি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। যার দরুন কাজে বিলম্ব হচ্ছে বলে মন্তব্য করে ডেভিড কেভম বলেন, জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ জমি মালিকদের মিটিয়ে না দেওয়ার জেরে জমি মালিকরা কাজে বাধার সৃষ্টি করছেন।
এই অবস্থায় নির্ধারিত সময়ে সড়ক নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হওয়া নিয়ে সংশয় ব্যক্ত করে ডেভিড কেভম বলেন, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জমি অধিগ্রহণের জন্য গ্রামবাসীরা কাজে বাধা দেওয়ায় কাজ করতে বিলম্ব হচ্ছে বলে গ্রামের বাসিন্দাদের দোষারোপ করা হচ্ছে।
হিন্দুস্থান সমাচার / বিশাখা দেব