কাছাড়ে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্ৰেফতার মিজোরাম এবং মণিপুরের দুই পাচারকারী
শিলচর (অসম), ১৭ ডিসেম্বর (হি.স.) : কাছাড়ে পুলিশের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্ৰেফতার হয়েছে মিজোরাম এবং মণিপুরের দুই ব্যক্তি। গ্রেফতারকৃত দুজনকে মিজোরামের আইজল জেলার অন্তর্গত জুয়াগতুই তাংনুয়ামের বাসিন্দা জনৈক ভিএল সোঙ্গা মারের বছর ২৬-এর ছেলে মারগাইহজ
কাছাড়ে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্ৰেফতার মিজোরাম এবং মণিপুরের দুই ব্যক্তি


শিলচর (অসম), ১৭ ডিসেম্বর (হি.স.) : কাছাড়ে পুলিশের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্ৰেফতার হয়েছে মিজোরাম এবং মণিপুরের দুই ব্যক্তি। গ্রেফতারকৃত দুজনকে মিজোরামের আইজল জেলার অন্তর্গত জুয়াগতুই তাংনুয়ামের বাসিন্দা জনৈক ভিএল সোঙ্গা মারের বছর ২৬-এর ছেলে মারগাইহজুওল মার এবং মণিপুরের ইমফল পূর্ব জেলাধীন লামাভুটাংখালের বাসিন্দা লুংগই মারের ৩৮ বছর বয়সি ছেলে লালখুমলিয়েন মার বলে শনাক্ত করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার কাছাড়ের সিনিয়র সুপারিন্টেনডেন্ট অব পুলিশ (এসএসপি) পার্থপ্রতিম দাস এ খবর দিয়ে জানান, মঙ্গলবার মধ্য রাতে কাছাড়-মিজোরাম সীমান্তের কাছে ধলাখাল বর্ডার আউটপোস্টের কাছে নিয়মিত নাকা তালাশির সময় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র সহ এই দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। উভয়ের বিরুদ্ধে ধলাই থানায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট আইনের সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

সিনিয়র পুলিশ সুপার জানান, মিজোরাম থেকে আগত এএস ০১ ইটি ২৩৯৮ নম্বরের একটি চার চাকার গাড়ির গতিরোধ করে তাতে তালাশি চালান কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা। গাড়িতে তালাশি করে পুলিশ গুলি ভরতি ম্যাগাজিন সহ একটি পয়েন্ট (.) ৩২ এমএম-এর পিস্তল এবং পাঁচ রাউন্ড গুলি ভরতি ম্যাগাজিন সহ একটি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল উদ্ধার করেছে।

এসএসপি পার্থপ্রতিম দাস জানান, উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্রগুলি লক্ষ্মীপুর থানার অন্তর্গত মারখাওলিয়ান এলাকায় পাচারের উদ্দেশ্যে আনা হচ্ছিল। আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের সঙ্গে সম্ভাব্য জঙ্গি-যোগ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। এসএসপি জানান, চলতি মাসে কাছাড় জেলায় অবৈধভাবে পাচারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের এটি তৃতীয় ঘটনা।

পার্থপ্রতিম দাস জানান, আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের পেছনে প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনই মন্তব্য করা ঠিক নয়। তিনি জানান, এ ধরনের অস্ত্র সাধারণত মায়ানমার থেকে আসে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলি বিক্রির উদ্দেশ্যে আনা হয়। এসএসপি আরও বলেন, মারখাওলিয়ান এলাকায় এখনও কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠী সক্রিয় আছে। এদের সঙ্গে ধৃতদের যোগসূত্র থাকতে পারে।

এসএসপি দাস বলেন, এ ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের সঙ্গে মিজোরামের ‘মার পিপলস কনভেনশন’ (এইচপিসি)-এর আত্মসমর্পন করেনি এমন কিছু সদস্য জড়িত থাকতে পারে। তবে এ মুহূর্তে তা নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়। বিষয়টি তদন্ত-সাপেক্ষ। তবে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, এ ব্যাপারে উদ্বেগের কোনও অবকাশ নেই। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কড়া নজরদারি রয়েছে পুলিশের।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande