চিংড়িঘাটা মেট্রোর কাজ জানুয়ারিতেই করতে বলল হাই কোর্ট, রাজ্যের যুক্তি খারিজ
HC-Kol-Metro.
চিংড়িঘাটা মেট্রোর কাজ জানুয়ারিতেই করতে বলল হাই কোর্ট, রাজ্যের যুক্তি খারিজ


কলকাতা, ১৯ ডিসেম্বর (হি. স.) : ফেব্রুয়ারি মাসের আগে চিংড়িঘাটায় মেট্রোর কাজের জন্য রাস্তা বন্ধ করা যাবে না, জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। শুক্রবার রাজ্যের সেই যুক্তি খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আবেদন করা হল, জানুয়ারি মাসের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

জানুয়ারিতে কবে মেট্রোর কাজ শুরু করার অনুমতি দেবে রাজ্য, তা স্থির করে জানাতে বলা হয়েছে আদালতকে। দ্বিতীয় বৈঠকের পরেও চিংড়িঘাটা মেট্রো নিয়ে কাটেনি জট! এই অবস্থায় আগামী মাসে অর্থাৎ জানুয়ারিতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব কিনা, তা রাজ্যকে জানাতে নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির।

আগামী সোমবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি। সেদিনই রাজ্যকে তা জানাতে নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের। এখন দেখার দীর্ঘ সময় ধরে চলা চিংড়িঘাটা মেট্রোর জট কাটে কিনা।

নিউ গড়িয়া থেকে কলকাতা বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো লাইন সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। কিন্তু চিংড়িঘাটায় আটকে আছে কাজ। কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে মাত্র ৩৬৬ মিটার। ট্রাফিক ব্লক করে সেই কাজ করবে মেট্রো। আর তা করতেই আদালতে চলছে মামলা। অভিযোগ, এই কাজ করার জন্য অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এই নিয়ে একাধিকবার রাজ্য, কেন্দ্র, নির্মাণকারী সংস্থা আরভিএনএল-সহ একাধিক দফতরের সঙ্গে বৈঠক হয়। এমনকী হাই কোর্টের নির্দেশে গত ১৭ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের জন্য বৈঠকে বসেন সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা।

শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির এজলাসে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। শুনানিতে নির্মাণকারী সংস্থা আরভিএনএল এদিন আদালতে অভিযোগ করে, পুলিশ জানিয়েছে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের কোনও এক সময় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। কিন্তু মাত্র তিনদিন রাত ১০ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করলেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আদালতে দাবি। রাজ্যের পালটা যুক্তি ছিল, দশকের পর দশক ধরে কাজ চলছে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে আরভিএনএলের সমস্যা কোথায়?

যদিও রাজ্যের এহেন যুক্তি খারিজ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট নির্দেশে জানিয়ে দেয়, জানুয়ারি মাসে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব কিনা তা রাজ্যকে সোমবার জানাতে হবে। এখন দেখার এই বিষয়ে রাজ্য হাই কোর্টে কি রিপোর্ট দেয়।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande