
কলকাতা, ২০ ডিসেম্বর (হি. স. ): ক্যানভাসে : শিল্পের ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোট ৩৪ টি ছবির মধ্যেই ৯ টি মমতার ছবি স্থান পেয়েছে ওই প্রদর্শনীতে। চিত্রশিল্পী শান্তনু বন্দোপাধ্যায় এদিন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এত বড় মাপের মানুষ। মূলতঃ লাইন ড্রইং নিয়েই কাজ। রঙ ব্যবহার করা হয়েছে ক্যানভাসের ব্যাকগ্রাউন্ডে। গত তিন মাস ধরেই শিল্পী এমন কাজ করে চলেছেন।
উল্লেখ্য, অতি পরিচিত ২১ জুলাই বা ব্রিগেড থেকে রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে সভানেত্রী হিসেবে সম্ভাষণ, রাজ্য বিধানসভায় সরকার পক্ষের তরফেও বক্তব্য পেশ করা। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ের নানান মুড শিল্পীর দৃষ্টিতে ক্যানভাসে নতুন করে ধরা পড়েছে।
এক ব্যতিক্রমী চিত্রকলা প্রদর্শনী - ‘ক্যানভাসে সাহস - কারেজ ইন ক্যানভাস।' কলকাতায় এদিন প্রদর্শনীতে বেশ ভিড় জমেছে। ক্যানভাসে ধরা পড়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নানান মুড মেজাজ, আবেগ ও অভিব্যক্তির শিল্পরূপ চিত্রায়িত হয়েছে। ওই প্রদর্শনী ১৬ ডিসেম্বর থেকেই চালু হয়েছে এবং ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা, বিড়লা অ্যাকাডেমি অফ আর্ট অ্যান্ড কালচার, সাদার্ন অ্যাভিনিউতে।
প্রসঙ্গতঃ সৃজনশীলতার দৃষ্টিতেই নেতৃত্বকে শ্রদ্ধা জানাতে পরিকল্পিত এই প্রদর্শনী। ‘ক্যানভাসে সাহস’- এ উপস্থাপিত ছবিগুলি প্রচলিত প্রতিকৃতির সীমা ছাড়িয়ে যায়। কোথাও আত্মানুসন্ধান, কোথাও দৃঢ় প্রত্যয়, কোথাও সহমর্মিতা, আবার কোথাও প্রতিবাদের দৃপ্ত সুর - রং, আকার ও আবহের মেলবন্ধনে শিল্পী ধরতে চেয়েছেন মুহূর্তের অনুভব। এর ফলে গড়ে উঠেছে এক স্তরবহুল বর্ণনা, যা কেবল একটি রাজনৈতিক পরিচয় নয়, বরং আবেগ, বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতায় গঠিত এক ব্যক্তিত্বকে তুলে ধরে।
রাজনীতির পাশাপাশি শিল্প, কবিতা ও সাহিত্যের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গভীর সম্পর্ক সর্বজনবিদিত। ব্যক্তিগত উপলব্ধি এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে তিনি বহু সময়েই সৃজনশীল প্রকাশের আশ্রয় নিয়েছেন। এই প্রদর্শনী সেই দিকটিকেই সামনে আনে— যেখানে শাসনব্যবস্থা ও সংস্কৃতির মধ্যে এক নীরব অথচ গভীর যোগসূত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে, এবং শিল্প জনজীবনকে আরও মানবিক করে তোলে।
এই প্রদর্শনীর ভাবনা ও বাস্তবায়নের নেপথ্যে রয়েছেন শিল্পী শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর শিল্পভাষার মূল শক্তি আবেগ নির্ভর বাস্তবতা ও প্রকাশভঙ্গি। সূক্ষ্ম ব্রাশ স্ট্রোক ও সংযত রঙের ব্যবহারে তিনি মানসিক অবস্থাকে দৃশ্যমান রূপ দিতে চেয়েছেন, যাতে দর্শক নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রতিটি ছবির অর্থ খুঁজে নিতে পারেন। শিল্পানুরাগী, সংস্কৃতি চর্চায় আগ্রহী মানুষ এবং সাধারণ দর্শকদের কাছে ‘ক্যানভাসে সাহস’ হয়ে উঠতে চলেছে এক ভাবনামূলক ও মননশীল অভিজ্ঞতা। ৬দিনের ওই প্রদর্শনীতে শিল্প, নেতৃত্ব ও পরিচয়ের এক অনন্য সংলাপের সাক্ষী হয়ে থাকবে তিলোত্তমা কলকাতা শহর।
হিন্দুস্থান সমাচার / শুভদ্যুতি দত্ত