
কলকাতা, ২০ ডিসেম্বর (হি. স.) : ক্রিশমাস আগত প্রায়, কয়েকদিন পরেই বড়দিনের আনন্দে মেতে উঠবে আবালবৃদ্ধবনিতা। এদিকে, এর প্রাক্কালে হুগলির হিন্দমোটরে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এক স্কুলে উপহারের ডালি নিয়ে সটান পৌঁছে গেল শান্তা ক্লজ। আর শান্তা ক্লজকে সামনে পেয়ে খুশিতে মেতে উঠলো শিশুরা। হুগলি জেলা পরিষদের মেন্টর ড. সুবীর মুখোপাধ্যায় শনিবার সকালে হুগলি জেলার চন্ডীতলায় প্রকৃতি সংস্থার সদস্যদের নিয়ে শান্তারূপী সুবীরবাবু মুখে সাদা দাড়ি কাঁধে উপহারের ঝোলা নিয়ে পৌঁছেছেন বাচ্চাদের মধ্যে। বাঁশি, গিটার, স্যাক্সোফোনের সুরের মূর্ছনায় জিংগেল বেল, জিংগেল বেল - ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে স্কুল প্রাঙ্গন। এরই মাঝে শান্তা ক্লজের বেশে সুবীর বাবু বাচ্চাদের হাতে কেক, চকলেট সহ অন্যান্য উপহার সামগ্রী তুলে দিলেন। এদিন শিশুরাও কেক, চকলেট উপহার সামগ্রী পেয়ে আনন্দে আত্মহারা। এই প্রসঙ্গে শান্তা ক্লজ তথা সুবীর মুখার্জি জানালেন, এই সমস্ত ছোট ছোট বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সঙ্গে বড়দিনের আনন্দ ভাগ করে নেওয়াটা সব থেকে বড় প্রাপ্তি। আর এর মধ্যে দিয়েই নিজেদের শিশুকালের আনন্দের দিনগুলির ছবি ভেসে ওঠে। বছর ভর প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ততার মাঝে শিশুদের মধ্যে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে আবার নতুন করে প্রাণের সন্ধান পাওয়া যায় এবং বেঁচে থাকার রসদ মেলে, স্কুলের এক আধিকারিক জানালেন ড. সুবীর মুখোপাধ্যায় বছরভর মানুষের মধ্যেই কাজ করেন। এর আগেও বহুবার স্কুলে এসেছেন তিনি। এদিন শান্তা রূপে বড়দিনের আগেই এসে শিশুদের মুখে হাসি ফুটিয়ে গেলেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
হিন্দুস্থান সমাচার / শুভদ্যুতি দত্ত