কড়া নিরাপত্তার মধ্যে অরুণাচলে চলছে পঞ্চায়েত ও পুর নির্বাচনের ভোট গণনা
ইটানগর, ২০ ডিসেম্বর (হি.স.) : কড়া নিরাপত্তার মধ্যে অরুণাচল প্রদেশে চলছে পঞ্চায়েত এবং পুর নির্বাচনের ভোট গণনা। আজ শনিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন (এসইসি)-এর সচিব তারু তালো জানান, সকাল ৮-টা থেকে ২৭টি জেলায় ৪৫টি গণনা কেন্দ্রে ভোট গণনার প্রক্রিয়া শুরু
ভোট গণনা_প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি


ইটানগর, ২০ ডিসেম্বর (হি.স.) : কড়া নিরাপত্তার মধ্যে অরুণাচল প্রদেশে চলছে পঞ্চায়েত এবং পুর নির্বাচনের ভোট গণনা।

আজ শনিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন (এসইসি)-এর সচিব তারু তালো জানান, সকাল ৮-টা থেকে ২৭টি জেলায় ৪৫টি গণনা কেন্দ্রে ভোট গণনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিনি জানান, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু ভোট গণনা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ইটানগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (আইএমসি) এবং পাসিঘাট মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল (পিএমসি) নির্বাচনের ভোট গণনার জন্য ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হচ্ছে, অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষেত্রে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট গণনা চলছে।

পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোট ২৪৫টি জেলা পরিষদ সদস্য (জেডপিএম) আসনের মধ্যে ১৮৬টির গণনা চলছে। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই ৫৯ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। গ্রাম পঞ্চায়েত (জিপি)-এর মোট ৬,২২৭ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ১,৯৪৭টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব জানান, ইটানগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (আইএমসি)-এর ১৬টি ওয়ার্ড এবং পাসিঘাট মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল (পিএমসি)-এর আটটি ওয়ার্ডের নির্বাচন ১৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছিল। উল্লেখযোগ্যভাবে, ইটানগরের নগর সংস্থার নির্বাচনে বিজেপির চারজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

সচিব তালো বলেন, রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও বড় ধরনের কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা সংগঠিত হয়নি। নির্বাচন কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলির কার্যকর সমন্বয়ের ফলেই এই সুষ্ঠু প্রক্রিয়া সম্ভব হয়েছে, জানান এসইসি-সচিব তারু তালো।

পঞ্চায়েত নির্বাচনে অরুণাচল প্রদেশ জুড়ে প্রায় ৭৫ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি নথিভুক্ত হয়েছে। নগর স্থানীয় সংস্থার নির্বাচনে ইটানগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৫১.৩৯ শতাংশ এবং পাসিঘাট মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলে ছিল ৬০.৯৫ শতাংশ।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande