
কলকাতা, ২১ ডিসেম্বর (হি. স. ) :“ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেওয়া হলে কারা এ দেশে প্রবেশ করছেন, তাতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার। রবিবার এই মন্তব্য করেন সংঘপ্রধান মোহন ভাগবৎ।
বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুসংবাদ বৃহস্পতিবার রাতে ছড়াতেই গোলমাল শুরু। সে রাতেই উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্ত দিয়ে এ দেশে ঢোকার চেষ্টা করছিল তিন যুবক। অসহায় হিন্দুদের ওপর আক্রমন ও অত্যাচারের অভিযোগ আসছে।
এই অবস্থায় ১৯৭১ সালের মতো এখনও কি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জন্য ভারতের সীমান্ত খুলে দেওয়া উচিত? মোহন ভাগবৎ
বলেন, তার জন্য সঠিক পরিকল্পনা প্রয়োজন। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার প্রশাসনের উপরেই ছেড়েছেন।
আরএসএস-এর শতবর্ষ উপলক্ষে সংঘপ্রধানের ‘বক্তৃতামালা’ কর্মসূচি দিল্লি, কলকাতা-সহ তিনটি শহরে ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে। বাকি কেবল মুম্বই। রবিবার কলকাতার কর্মসূচি মোট তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত ছিল। প্রথম পর্যায়ে ভাষণ দেন ভাগবৎ নিজে। কী উদ্দেশ্য নিয়ে ১০০ বছর আগে আরএসএস-এর পথ চলা শুরু হয়েছিল, সে দিকে তিনি আলোকপাত করেছেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে বর্ণনা করেন সঙ্ঘের কর্মপদ্ধতি। কী ভাবে স্বয়ংসেবকেরা কাজ করেন, তা বিশদে বুঝিয়েছেন ভাগবৎ। তৃতীয় পর্যায়ে ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে একাধিক প্রশ্ন তাঁকে করা হয়েছিল।
তবে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন আসে বাংলাদেশ নিয়ে। প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য প্রশ্ন আগে থেকে জমা দিতে হয়েছিল। বাংলাদেশ সংক্রান্ত প্রশ্নগুলির ক্ষেত্রে অন্যতম প্রশ্নকর্তা ছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত