ককবরক ভাষায় রোমান হরফ থেকে সীমান্ত নিরাপত্তা— একাধিক ইস্যুতে কড়া বার্তা প্রদ্যোতের
আগরতলা, ২১ ডিসেম্বর (হি. স.) : ককবরক ভাষার হরফ নিয়ে দলীয় অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট করল তিপ্রা মথা। রবিবার আগরতলার রাজবাড়ীতে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে দলের সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মন জানিয়েছেন— ককবরক ভাষাকে রোমান হরফে লেখার দাবিতে দল অনড়,
সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদ্যোত


আগরতলা, ২১ ডিসেম্বর (হি. স.) : ককবরক ভাষার হরফ নিয়ে দলীয় অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট করল তিপ্রা মথা। রবিবার আগরতলার রাজবাড়ীতে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে দলের সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মন জানিয়েছেন— ককবরক ভাষাকে রোমান হরফে লেখার দাবিতে দল অনড়, ভবিষ্যতেও এই দাবির পরিবর্তন হবে না।

প্রদ্যোত বলেন, “মানুষের ভাবাবেগকে সম্মান জানিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উচিত ককবরক ভাষা নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া। নতুন কোনও হরফ চালু করার আগে অন্তত রোমান হরফে ককবরক লেখার সরকারি ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন।” মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহার প্রস্তাব— জনজাতির নিজস্ব হরফ প্রবর্তনে সরকারের উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান। তবে স্পষ্ট করেন, নতুন হরফ চালুর পূর্ব পর্যন্ত রোমান লিপিই কার্যকর রাখতে হবে।

সাংবাদিক সম্মেলনে প্রসঙ্গক্রমে প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মন উদ্বেগ জানান বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে। তাঁর অভিযোগ, প্রতিবেশী দেশের একাংশ উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ড এখন গোটা ভারতের নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করছে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু ও জনজাতিদের ওপর নৃশংস অত্যাচার চলছে, ভারতীয় দূতাবাসেও হামলার চেষ্টা হয়েছে। এমনকি উত্তর-পূর্ব ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার মত মন্তব্যও করা হচ্ছে।”

তিনি আরও দাবি করেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলিকে সহায়তা করার ইঙ্গিত দিচ্ছে বাংলাদেশের কিছু শক্তি। অথচ যারা নিজেদের দেশভক্ত বলে দাবি করেন, তারা এ বিষয়ে নীরব বলে মন্তব্য করেন তিনি।

খেলাধুলা প্রসঙ্গে প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এমন পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কোটি কোটি টাকা দিয়ে ভারতীয় লিগে খেলার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, অথচ ত্রিপুরার প্রতিভাবান ক্রিকেটার মণিশংকর মুরাসিংসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের বহু খেলোয়াড় বঞ্চিত হচ্ছেন। তাঁর কথায়, “অনেকে হয়তো বলবেন রাজনীতি আর খেলাকে একজোট করে ফেলছি। কিন্তু খেলাকে আগে ভারতই রাজনীতির সাথে যুক্ত করেছে। পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের তো বহুবার বয়কট করা হয়েছে।”

শেষে তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালে ত্রিপুরা সহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের অবস্থাকে আরও শক্তিশালী ও সুরক্ষিত করতে কেন্দ্রীয় সরকার গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেবে।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande