চলে গেছেন প্ৰধানমন্ত্ৰীর গুয়াহাটি সফরকালে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী শ্রীভূমির মানভানজয় চড়েই
বাজা‌রিছড়া (অসম), ২৪ ডিসেম্বর (হি.স.) : বাজা‌রিছড়া থানাধীন মাগুরা গ্রামের বাসিন্দা পুলিশ কর্মী মানভানজয় চড়েই আর নেই। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৪ বছর। রেখে গেছেন স্ত্রী, ছোট শিশুকন্যা সহ দুই ছেলে এবং নিকট আত্মীয়দের। প্রয়াতের পারিবারিক সূত্র
প্রয়াত মানভানজয় চরেইকে গান স্যালুট জেলা পুলিশের


বাজা‌রিছড়া (অসম), ২৪ ডিসেম্বর (হি.স.) : বাজা‌রিছড়া থানাধীন মাগুরা গ্রামের বাসিন্দা পুলিশ কর্মী মানভানজয় চড়েই আর নেই। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৪ বছর। রেখে গেছেন স্ত্রী, ছোট শিশুকন্যা সহ দুই ছেলে এবং নিকট আত্মীয়দের।

প্রয়াতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ এবং ২১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দু-দিবসীয় অসম সফরকালে বিভাগীয় নির্দেশে তিনি গুয়াহাটিতে কর্তব্য পালন করতে গিয়েছিলেন।

২১ তারিখ সকালে কর্তব্যরত অবস্থায় স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তড়িঘড়ি তাঁকে দিশপুর হাসপাতালে নিয়ে ভরতি করা হয়। যথারীতি তাঁর চিকিৎসা শুরু করেন ডাক্তাররা। কিন্তু শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ার চিকিৎসকরা তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী তাঁকে নিয়ে তাঁর বাড়ি নিয়ে আসার পথে আজ বুধবার সকালে শ্রীভূমি জেলার অন্তর্গত বাজারিছড়ার মাকুন্দা লেপ্রসি কাম জেনারেল হসপিটালে নিয়ে আসা হয়। শেষে আজ সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

জানা গেছে, প্রয়াত মানভানজয় চড়েই আসাম পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট স্পেশাল ব্রাঞ্চের অধীনে শ্রীভূমি জেলার নিলামবাজার থানায় কর্মরত ছিলেন। অত্যন্ত মৃদুভাষী এই পুলিশ কর্মীর মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে তাঁর পরিচিত মহলের অনেকে শোক প্রকাশ করেছেন।

এদিনই প্রয়াত মানভানজয় চড়েইয়ের মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জেলা পুলিশ তাঁদের প্রয়াত সহকর্মীকে গান স্যালুট দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে। তখন উপস্থিত ছিলেন শ্রীভূমি জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) প্রণব কলিতা, আইবি ডিএসপি মুকুট কাকতি, বাজা‌রিছড়া থানার ওসি আনন্দ মে‌ধি প্রমুখ। প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে এদিন বিকালে বহু শুভানুধ্যায়ীর উপস্থিতিতে খ্রিষ্টীয় রীতিনীতি অনুযায়ী তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে আজ হাসপাতাল থেকে মানভানজয়ের মৃতদেহ তাঁরা বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে শেষবারের মতো দেখতে এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করতে কাতারে কাতারে স্থানীয় মানুষ জড়ো হতে থাকেন। তাঁর আত্মীয়-পরিজনেরা মৃতদেহকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। শেষে অশ্রুসজল নয়নে শেষ বিদায় জানানো হয়েছে মানভানজয় চড়েইকে।

হিন্দুস্থান সমাচার / মনোজিৎ দাস




 

 rajesh pande