বড়দিনে পর্যটকে ভরল জঙ্গলমহল, ঝাড়গ্রামে উৎসবের আবহ
ঝাড়গ্রাম, ২৫ ডিসেম্বর (হি.স.) : শীতের মিষ্টি রোদ, শাল-পলাশে ঘেরা পাহাড়ি অরণ্য আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে বড়দিনে পর্যটকে ভরে উঠল জঙ্গলমহল। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে সকাল থেকেই পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা য
জঙ্গল পাহাড় ঘেরা জঙ্গলমহল এর অপরূপ প্রকৃতির দান উপেক্ষা করা প্রায় অসম্ভব


ঝাড়গ্রাম, ২৫ ডিসেম্বর (হি.স.) : শীতের মিষ্টি রোদ, শাল-পলাশে ঘেরা পাহাড়ি অরণ্য আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে বড়দিনে পর্যটকে ভরে উঠল জঙ্গলমহল। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে সকাল থেকেই পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। জেলার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকেও বিপুল সংখ্যক পর্যটক জঙ্গলমহলে এসে পৌঁছান।

বেলপাহাড়ীর ঘাঘরা, লালজল, খাঁদারানি, কাঁকড়াঝোর, ঝাড়গ্রামের সাতপাটি, জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক, চিল্কীগড়ের কনকদুর্গা মন্দির ও ডুলুং নদীর তীরবর্তী এলাকা, নয়াগ্রামের রামেশ্বর মন্দির, সুবর্ণরেখা নদীর জঙ্গলকন্যা সেতু, গোপীবল্লভপুরের ইকো পার্ক, হাতিবাড়ি ও পাখির আলয়— জেলার প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনস্থলেই ছিল উপচে পড়া ভিড়।

বড়দিনে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নজরদারি ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। পর্যটকদের চাপ সামাল দিতে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

উল্লেখযোগ্যভাবে, একসময় মাওবাদী কার্যকলাপের কারণে ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত জঙ্গলমহলে পর্যটকের সংখ্যা কমে গিয়েছিল। তবে বিগত কয়েক বছরে পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ঝাড়গ্রাম রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে উল্লেখযোগ্য স্থান করে নিয়েছে। ফলে শীত এলেই পর্যটকের ঢল নামে এই জেলায়। বড়দিন উপলক্ষে ঝাড়গ্রাম শহরের অধিকাংশ হোটেল আগেই সম্পূর্ণ বুক হয়ে যায়।

বেলপাহাড়ী ট্যুরিজমের মুখপাত্র বিধান দেবনাথ জানান, “এবছর ভালো শীত পড়ায় বেলপাহাড়ী ও সংলগ্ন পর্যটনস্থলগুলিতে পর্যটকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বেশি মানুষ বনভোজন ও ভ্রমণে এসেছেন।”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / গোপেশ মাহাতো




 

 rajesh pande