
আগরতলা, ২৫ ডিসেম্বর (হি.স.) : ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীর আদর্শই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা—এই বার্তা দিয়েই ধর্মনগরে রাজ্যভিত্তিক অটল কবিতা ও সাহিত্য উৎসবের শুভসূচনা করলেন ত্রিপুরার শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা। বৃহস্পতিবার বিবেকানন্দ সার্ধশতবার্ষিকী ভবনে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে শুরু হয়েছে দু’দিনব্যাপী এই সাহিত্য উৎসব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট লেখক ও প্রাক্তন বিধায়ক ডঃ অতুল দেববর্মাকে অটল বিহারী বাজপেয়ী আজীবন স্মৃতি পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। শিল্পমন্ত্রী তাঁর হাতে ১ লক্ষ টাকার চেক, শংসাপত্র ও স্মারক তুলে দেন।
শিল্পমন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা বলেন, অটল বিহারী বাজপেয়ীর দেখানো উন্নয়নের পথই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আগামী প্রজন্মকে এই চিন্তাধারার সঙ্গে যুক্ত করার ওপর জোর দেন তিনি। পাশাপাশি বলেন, আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ে তুলতে রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। স্বসহায়ক দলগুলির উৎপাদিত দেশীয় পণ্যের প্রসারে সাফল্য এসেছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী। কেন্দ্র ও রাজ্যের নীতির ফলে বহু মহিলা এখন “লাখপতি দিদি” হয়েছেন। লক্ষ্য—২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ে তোলা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখতে গিয়ে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সচিব ডঃ প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, অটল বিহারী বাজপেয়ীর কবিতা জাতীয় ঐক্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি। তাঁর জন্মদিনকে সুশাসন দিবস হিসেবেও পালন করা হয়। রাজ্যের মিশ্র সংস্কৃতি বিকাশে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী ও সাহিত্যিক তাপস ভট্টাচার্য। উপস্থিত ছিলেন উত্তর ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অপর্ণা নাথ, বিধায়ক যাদবলাল দেবনাথ, ধর্মনগর পুরপরিষদের চেয়ারপার্সন মিতালি রানী দাস সেন, জেলাশাসক চান্দনী চন্দ্রন, যুগ্ম অধিকর্তা মনোজ কুমার সাহা, সমাজসেবী কাজল কুমার দাস প্রমুখ।
দু’দিনব্যাপী এই উৎসবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ২৫০ জন কবি-সাহিত্যিক অংশ নিয়েছেন। থাকছে কবি সম্মেলন, আলোচনাচক্র, পুস্তক মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ