
আগরতলা, ২৫ ডিসেম্বর (হি.স.) : শরীর ও মনের সুস্থ বিকাশে খেলাধুলার ভূমিকা অপরিসীম উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা বলেন, “খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত থাকলে ইতিবাচক চিন্তা-চেতনা গড়ে ওঠে এবং মানসিক চাপ কমে যায়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থভাবে গড়ে তুলতে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায় যুক্ত করা অভিভাবকদের কর্তব্য।” বৃহস্পতিবার বাধারঘাটে দশরথ দেব স্পোর্টস কমপ্লেক্সে সাংসদ খেল মহোৎসব-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
ক্রীড়া উৎসবের আয়োজন করেছে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দফতর এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা প্রশাসন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নয়াদিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি বিভিন্ন রাজ্যের খেলোয়াড়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তাঁর বক্তব্য উদ্বোধনী মঞ্চে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনেন মুখ্যমন্ত্রীসহ অন্যান্য অতিথিরা। এরপর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি রাজ্যের ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত করতে এবং প্রতিভা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর উদ্যোগেই সাংসদ খেল মহোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। দেশাত্মবোধ জাগ্রত করা, মানসিক বিকাশ ঘটানো এবং সীমান্ত এলাকার যুবসমাজকে এগিয়ে আনতে ‘৭৫ সীমান্ত গ্রাম ক্রান্তি বীরো কে নাম’, ‘পরীক্ষা পে চর্চা’, ‘এক পেড় মা কে নাম’ সহ একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, এই খেলোৎসব দেশের ঐতিহ্যবাহী, প্রায় বিস্মৃত খেলাগুলিকে নতুন প্রজন্মের কাছে পুনরায় জনপ্রিয় করে তুলবে।
অনুষ্ঠানে সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব বলেন, ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত থাকলে শিশুদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয় এবং সমাজের প্রতি ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে ওঠে। যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায় স্বাগত বক্তব্যে জানান, বর্তমান সরকার রাজ্যের ক্রীড়া অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। ইতিমধ্যে রাজ্যে ৮টি সিন্থেটিক টার্ফ মাঠ ও ৪০টি নতুন ঘাসের মাঠ তৈরি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল, বিধায়ক মিনারানী সরকার, আগরতলা পুর নিগমের ডেপুটি মেয়র মণিকা দাস দত্ত, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ডাঃ বিশাল কুমার, পদ্মশ্রী দীপা কর্মকারসহ অন্যান্যরা।
পরে মুখ্যমন্ত্রী ফুটবলে কিক দিয়ে ফুটবলসহ বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতার সূচনা করেন এবং সাংসদ খেল মহোৎসবের পতাকা উত্তোলন করেন।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ