প্রধানমন্ত্রী মোদীর ছবি শেয়ার করে আরএসএস এবং বিজেপি সংগঠনের প্রশংসায় দিগ্বিজয় সিং
ভোপাল, ২৭ ডিসেম্বর (হি.স.) : প্রধানমন্ত্রী মোদীর একটি পুরনো ছবি শেয়ার করে আরএসএস এবং বিজেপি সংগঠনের প্রশংসা করেছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা দিগ্বিজয় সিং। যিনি প্রায়শই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এর
প্রধানমন্ত্রী মোদীর  ছবি শেয়ার


ভোপাল, ২৭ ডিসেম্বর (হি.স.) : প্রধানমন্ত্রী মোদীর একটি পুরনো ছবি শেয়ার করে আরএসএস এবং বিজেপি সংগঠনের প্রশংসা করেছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা দিগ্বিজয় সিং।

যিনি প্রায়শই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এর বিরুদ্ধে তার বক্তব্যের জন্য শিরোনাম হন, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি শেয়ার করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন।শনিবার দিগ্বিজয় সিং সদ্য এক্স হ্যান্ডেলে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবানীর পায়ের কাছে বসে রয়েছেন। দিগ্বিজয় বলছেন, “এই ছবিটা খুব শক্তিশালী। কীভাবে আরএসএস তথা জনসংঘের একজন সাধারণ কর্মী নেতার পায়ের কাছে বসে থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তথা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। এটাই সংগঠনের শক্তি।” তাৎপর্যপূর্ণভাবে কদিন আগে এই সোশ্যাল মিডিয়াতেই নিজের দল কংগ্রেসের সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। সোজা রাহুল গান্ধীকে ট্যাগ করে বলে দিয়েছিলেন, সংগঠনের বিকেন্দ্রীকরণ দরকার। অথচ শীর্ষ নেতৃত্ব সেটা বুঝতেই পারছে না।

বিজেপির এক মুখপাত্র বলছেন, “সত্যি প্রকাশ্যে এনে বোমা ফাটিয়েছেন দিগ্বিজয়। একমাত্র বিজেপিতেই যোগ্য সম্মান পান তৃণমূল স্তরের কর্মীরা। পরিবার সর্বস্ব কংগ্রেসে সেটা সম্ভব নয়।” বস্তুত দিগ্বিজয়ের এই পোস্টকে সরাসরি রাহুল গান্ধীর দিকে নিশানা বলে দাবি করছে গেরুয়া শিবির।

যদিও মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পরে নিজের মন্তব্যের পক্ষে সাফাই দিয়েছেন। তাঁর দাবি, তিনি শুধু আরএসএসের সংগঠনের প্রশংসা করেছেন। সংঘের নীতি বা আদর্শের নয়। আজন্ম তিনি আরএসএসের নীতি এবং আদর্শের বিরোধিতা করে এসেছেন, আগামীদিনেও তেমনটাই করবেন। কিন্তু জল্পনা তাতেও কমছে না। আসলে দিগ্বিজয় ইদানিং মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে বড্ড কোণঠাসা। গত বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর মধ্যপ্রদেশে নেতৃত্ব বদলে তরুণ মুখেদের তুলে এনেছেন রাহুল গান্ধী। আর সেই তরুণদের ভিড়ে দিশেহারা দিগ্বিজয় সম্ভবত নিজের জন্য পুনর্বাসন খুঁজছেন।

হিন্দুস্থান সমাচার / সোনালি




 

 rajesh pande