থানার কোয়াটার থেকেই উদ্ধার হল মহিলা হোমগার্ডের দেহ, সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ পরিবারের
ক্যানিং, ২৮ ডিসেম্বর (হি. স. ) : থানার কোয়াটার থেকে এক মহিলা হোমগার্ডের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ক্যানিং থানার ক্যানিং পুলিশ কোয়াটার থেকে উদ্ধার থানার হোমগার্ড গুলজান পারভিন মোল্লা(২২) ওরফে রেশমীর ঝুলন্ত দেহ। শনিবার সন্ধ্য
থানার কোয়াটার থেকেই উদ্ধার হল মহিলা হোমগার্ডের দেহ, সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ পরিবারের


ক্যানিং, ২৮ ডিসেম্বর (হি. স. ) : থানার কোয়াটার থেকে এক মহিলা হোমগার্ডের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ক্যানিং থানার ক্যানিং পুলিশ কোয়াটার থেকে উদ্ধার থানার হোমগার্ড গুলজান পারভিন মোল্লা(২২) ওরফে রেশমীর ঝুলন্ত দেহ। শনিবার সন্ধ্যায় দেহ উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে রবিবার ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। গুলজানকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। এ বিষয়ে ক্যানিং থানার সাব ইনস্পেক্টর সায়ন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই সায়নের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল গুলজানের। তাঁর বাড়ি জীবনতলা থানা উত্তর মৌখালী এলাকায়। বিগত শুক্রবার ডিউটি ছেড়ে ক্যানিং থানার পেছনে নিজের কোয়াটারে গিয়েছিলেন তিনি। সেদিন থেকেই তাঁর বাড়ির লোকজন বারবার ফোন করলেও কোনও সাড়া মেলেনি গুলজানের। সারাদিন ফোন করার পর যখন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি, তখন সন্ধ্যা নাগাদ বোন রুকসানা খাতুন কোয়াটারে আসেন। কোয়াটারের দরজা তখন ভেতর থেকে খোলাই ছিল। দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকতেই ঝুলন্ত অবস্থায় দিদিকে দেখতে পায় রুকসানা। ওড়না গলায় পেঁচিয়ে সিলিং এর সঙ্গে ঝুলছেন তিনি। রুকসানার চিৎকারে ছুটে আসেন থানার অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গেই দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেল চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

বছর দু’য়েক আগে পঞ্চায়েত ভোটের সময় ভাঙড়ে আইএসএফ ও তৃণমূলের মধ্যে বিবাদের জেরে খুন হয়েছিলেন গুলজানের বাবা রশিদ মোল্লা। সেই মৃত্যুর পর সরকারি চাকরি দেওয়া হয় গুলজানকে। এবার তাঁর মৃত্যুতে পুনরায় পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এদিকে মৃতের পরিবারের তরফ থেকে ক্যানিং থানার সাব ইন্সপেক্টর সায়ন ভট্টাচার্য্যয়ের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে শনিবার রাতেই। তাঁদের দাবি সায়নের বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক ছিল গুলজানের সঙ্গে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় সে খুন করেছে বলে অভিযোগ। মৃতার কাকা ছয়েদ মোল্লা বলেন, “ প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ছিল গুলজানকে। নিজে বিবাহিত হয়েও এই পুলিশ অফিসার মেয়েটার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় গুলজানকে নানাভাবে ওঁকে হুমকি দিচ্ছিল সায়ন। ওই আমাদের মেয়েকে খুন করেছে। আমরা ওর শাস্তি চাই।”

এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক সায়ন। ইতিমধ্যেই বারুইপুর পুলিশ জেলার তরফে সায়নকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রজু করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করে করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এসডিপিও ক্যানিং বলেন, “ পরিবারের লোকের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি খুনের মামলা রজু করা হয়েছে অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে। বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে। পাশাপাশি তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / পার্সতি সাহা




 

 rajesh pande