
আগরতলা, ৩০ ডিসেম্বর (হি.স.) : জঙ্গি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে ত্রিপুরা পুলিশ, আসাম পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ অভিযানে গ্রেফতার হলেন জাগির মিয়া (৩৩)। মঙ্গলবার সকালেই এই যৌথ অভিযানের পর তাকে আটক করা হয়। ধারাবাহিক গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং আন্তঃরাজ্য সহযোগিতার ফলে এই সফলতা এসেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
পশ্চিম আগরতলা থানার অধীন জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা জাগির মিয়া—এসটিএফ পুলিশ স্টেশনে ২৮ ডিসেম্বর দায়ের করা মামলা নং ০৬/২০২৫-এর প্রধান অভিযুক্তদের একজন। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস), ২০২৩-এর ১৪৩, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৫০, ১৫২ ও ১১৩(৫) ধারাসহ বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন, ১৯৬৭—এর অধীনে একাধিক গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে তিনি পলাতক ছিলেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, জাগির মিয়া ‘ইমাম মাহমুদে কাফিলা’ নামে একটি শাখা সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। এই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর শাখা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি এনক্রিপ্টেড হোয়াটসঅ্যাপ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গোষ্ঠীর সাথে যোগাযোগ রাখতেন বলেও অভিযোগ উঠেছে, যা জঙ্গি কার্যকলাপে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং আগামীতে তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। নিরাপত্তা সংস্থার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “এই অভিযান সমন্বিত গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় ও জঙ্গি মোকাবিলায় আমাদের দৃঢ়তার প্রমাণ।”
জাগির মিয়ার যোগাযোগ, সংগঠনের কার্যক্রম ও সম্ভাব্য সহযোগীদের পরিচয় জানতে তদন্ত আরও জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখছে এই নেটওয়ার্কের আন্তঃরাজ্য বিস্তৃতি রয়েছে কি না। আগামীদিনে নজরদারি ও সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপ আরও শক্তিশালী করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ