হাওড়া – বর্ধমান শাখায় (১০৫ আরকেএম) কবচ ৪.০ চালু করা হয়েছে, রাজ্যসভায় জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী
নয়াদিল্লি, ৫ ডিসেম্বর (হি.স.): কবচ হ’ল – দেশীয় উন্নত স্বয়ংক্রিয় ট্রেন সুরক্ষা ব্যবস্থা। উচ্চমানের এই প্রযুক্তি-নির্ভর ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ স্তরের সুরক্ষা শংসাপত্র (এসআইএল – ৪) প্রয়োজন হয়। ট্রেন চালক গতি নিয়ন্ত্রণ করতে ভুলে গেলে দুর্ঘটনা এড়াতে স্বয়
হাওড়া – বর্ধমান শাখায় (১০৫ আরকেএম) কবচ ৪.০ চালু করা হয়েছে, রাজ্যসভায় জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী


নয়াদিল্লি, ৫ ডিসেম্বর (হি.স.): কবচ হ’ল – দেশীয় উন্নত স্বয়ংক্রিয় ট্রেন সুরক্ষা ব্যবস্থা। উচ্চমানের এই প্রযুক্তি-নির্ভর ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ স্তরের সুরক্ষা শংসাপত্র (এসআইএল – ৪) প্রয়োজন হয়। ট্রেন চালক গতি নিয়ন্ত্রণ করতে ভুলে গেলে দুর্ঘটনা এড়াতে স্বয়ংক্রিয় এই ব্যবস্থা গতি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও, প্রতিকূল আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতিতে ট্রেন চালক’কে নিরাপদে ট্রেন চালাতে সাহায্য করে। দক্ষিণ – মধ্য রেলওয়ে’তে ১৪৬৫ (আরকেএম) কবচ ৩.২ ব্যবহারের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এই ব্যবস্থা আরও উন্নত করে কবচ ৪.০ চালুর জন্য আরডিএসও ০৬.০৭.২০২৪ তারিখে অনুমোদন দেয়।

এই কবচ ৪.০ বিভিন্ন রেল নেটওয়ার্কের অত্যাধুনিক বৈশিষ্ট্য সম্বলিত। ভারতীয় রেলের সুরক্ষায় এটি এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক রচনা করেছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভারতীয় রেল স্বয়ংক্রিয় রেল সুরক্ষা ব্যবস্থায় এর ব্যবহার শুরু করেছে। এই পর্যায়ের উল্লেখযোগ্য দিক হ’ল – সঠিক স্থান নির্ণয়, উন্নতমানের সিগন্যালগত তথ্য এবং স্টেশন থেকে ওএফসি’তে স্টেশন কবচ ইন্টারফেস ও ইলেক্ট্রনিক ইন্টারলকিং ব্যবস্থার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন। এই উন্নতমানের ব্যবস্থাকে ভারতীয় রেল সার্বিকভাবে ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়েছে। পরীক্ষামূলক ব্যবহারের পর, কবচ ৪.০ সাফল্যের সঙ্গে দিল্লি – মুম্বাই রুটে পালওয়াল – মথুরা – নাগদা শাখায় (৬৩৩ আরকেএম) এবং দিল্লি – হাওড়া রুটে হাওড়া – বর্ধমান (১০৫ আরকেএম) চালু করা হয়েছে। দিল্লি – মুম্বাই রুটে এবং দিল্লি – হাওড়া করিডরে অন্যান্য শাখাতেও এর রূপায়ণের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। এই কবচ ব্যবস্থার বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৪০ হাজার কারিগর, অপারেটর এবং ইঞ্জিনিয়ার কবচ প্রযুক্তির ব্যাপারে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ৩০ হাজার ট্রেন চালক এবং সহকারি ট্রেন চালককেও আইআরআইএসিটি-র সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। রেল লাইন সহ সংশ্লিষ্ট স্টেশন পর্যন্ত কবচ সহায়ক সামগ্রী ব্যবহারের প্রতি কিলোমিটার প্রতি খরচ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা এবং প্রতি ট্রেন ইঞ্জিনে এই কবচ মোতায়েনে খরচ প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা।

অক্টোবর, ২০২৫ পর্যন্ত কবচের জন্য খরচ হয়েছে ২৩৫৪.৩৬ কোটি টাকা। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে এই খাতে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে ১৬৭৩.১৯ কোটি টাকা। কাজের অগ্রগতির ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় অর্থ প্রদান করা হবে।

শুক্রবার রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে একথা জানিয়েছেন রেল, তথ্য ও সম্প্রচার এবং বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

এই বিষয়ে জানিয়েছে ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো|

হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ




 

 rajesh pande