স্ত্রী ও শাশুড়ির নির্যাতনে দিশেহারা শিক্ষক ফাঁসিতে আত্মঘাতী
বক্সনগর (ত্রিপুরা), ১৭ মার্চ (হি.স.) : সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া থানার অধীন বাতাদোলা এলাকায় পারিবারিক কলহ ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করলেন স্কুল শিক্ষক। মৃত ব্যক্তির নাম রূপঙ্কর দাস। স্থানীয় সূত্রের খবর, রূপঙ্কর দাস দীর্ঘদিন ধরেই
আত্মঘাতী শিক্ষক


বক্সনগর (ত্রিপুরা), ১৭ মার্চ (হি.স.) : সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া থানার অধীন বাতাদোলা এলাকায় পারিবারিক কলহ ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করলেন স্কুল শিক্ষক। মৃত ব্যক্তির নাম রূপঙ্কর দাস।

স্থানীয় সূত্রের খবর, রূপঙ্কর দাস দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক চাপে ছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, তাঁর স্ত্রী তানিয়া দাস ও শাশুড়ি তাঁকে প্রতিনিয়ত মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। তাদের প্রধান দাবি ছিল, তিনি যেন নিজের মা-বাবার কাছ থেকে আলাদা হয়ে অন্যত্র বাড়ি করেন। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই তুমুল ঝগড়া হত। ঘটনার দিন স্ত্রী তানিয়া দাস তাঁর বাপের বাড়ি মেলাঘরের পালপাড়ায় ছিলেন। সেখান থেকেই স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথোপকথনে শুরু হয় তীব্র বাকবিতন্ডা। এক পর্যায়ে কথোপকথন থেমে যায়। এরপরই পরিবারের সদস্যরা দেখেন রূপঙ্কর দাস নিজের ঘরের ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন।

তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে মেলাঘর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, স্ত্রীর অত্যাচার ও শাশুড়ির চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন রূপঙ্কর দাস।

অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁর ওপর ক্রমাগত মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছিল। স্ত্রী ও শাশুড়ি তাঁকে পরিবার থেকে আলাদা হওয়ার জন্য চাপ দিতেন। এমনকি, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সাম্প্রতিক ফোনালাপেও এই বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। স্ত্রী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠলেও তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত কিছু বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে প্রাথমিকভাবে এটি পারিবারিক কলহ থেকে উদ্ভূত আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে।

এমন মর্মান্তিক ঘটনার পর, স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই দাবি করছেন, রূপঙ্কর দাস শান্ত স্বভাবের মানুষ ছিলেন। স্ত্রীর অত্যাচারের কারণেই তিনি এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকেই দ্রুত তদন্ত শেষ করে দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছেন। ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande