যাদবপুরের উপাচার্যর অপসারণের প্রতিবাদ কুটা-র
কলকাতা, ৩০ মার্চ (হি.স.): যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভূত ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে তাঁর চাকরি জীবনের অবসরের চারদিন আগে অপসারণের প্রতিবাদ করল কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (কুটা)। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালের সংশ্লিষ্ট
যাদবপুরের উপাচার্যর অপসারণের প্রতিবাদ কুটা-র


কলকাতা, ৩০ মার্চ (হি.স.): যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভূত ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে তাঁর চাকরি জীবনের অবসরের চারদিন আগে অপসারণের প্রতিবাদ করল কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (কুটা)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালের সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত ভীষণভাবে অপমানজনক এবং উদ্বেগের বলে রবিবার মন্তব্য করেছেন কুটা-র তরফে মহালয়া চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, “মাননীয় আচার্য মহাশয় একজন শিক্ষকের মর্যাদা ও তাঁর যথাযথ সম্মান রক্ষা করতে ব্যর্থ।”

‘কুটা’-র সভাপতি জানিয়েছেন, “সংবাদ মাধ্যম মারফত জানা গেলো যে তিনি মনে করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত আগের সমাবর্তনটি ছিল অবৈধ এবং তাঁর জন্য অপসারিত উপাচার্য অধ্যাপক ভাস্কর গুপ্তকে সমাবর্তন করার জন্য যে ব্যয় হয়েছে সেটা তাঁর বক্তিগত অর্থ থেকে ফেরৎ দিতে হবে।

কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে করে যে সমাবর্তন সম্পূর্ণভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এর সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের অ্যাকাডেমিক ক্যারিয়ার জড়িত।

তাদের চাকরিতে যোগদান করা বা পরবর্তী উচ্চশিক্ষায় যাওয়ার জন্য শংসাপত্র প্রয়োজন, যেটা এই সমাবর্তনের অনুষ্ঠানে প্রদান করা হয়। এর মধ্যে কোনো অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাধিকার ও গণতান্ত্রিক অস্তিত্বকে অস্বীকার করার নামান্তর মাত্র। এই ধরণের ছদ্ম রাজনীতি ও অবাঞ্ছিত ব্যক্তি-ক্ষমতা জাহিরের সংস্কৃতি শিক্ষার পরিপন্থী।

আমরা আবার পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণ সময়ের উপাচার্য সহ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পূর্ণ সময়ের পদাধিকারী নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষার সঠিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও পরিকাঠামো ফিরে আসুক।”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande