মাদকাসক্ত ব্যক্তির দায়ের কোপে নিহত প্রতিবেশী, গণধোলাইয়ের প্রাণ হারাল হামলাকারী
সাব্রুম (ত্রিপুরা), ৩০ মার্চ (হি.স.) : রবিবার দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাব্রুম মহকুমার কলাছড়ায় এক মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি মাদকের নেশায় বুঁদ হয়ে দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করে এক ডিওয়াইএফআই কর্মীকে। পরে উত্তেজিত জনতা হামলাকারীকে পিটিয়ে হত্যা করে। পুলিশ উভয়
দুটি মৃতদেহ উদ্ধার


সাব্রুম (ত্রিপুরা), ৩০ মার্চ (হি.স.) : রবিবার দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাব্রুম মহকুমার কলাছড়ায় এক মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি মাদকের নেশায় বুঁদ হয়ে দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করে এক ডিওয়াইএফআই কর্মীকে। পরে উত্তেজিত জনতা হামলাকারীকে পিটিয়ে হত্যা করে। পুলিশ উভয় ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে এবং দুটি পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে।

এই বিষয়ে সাব্রুমের এসডিপিও নিত্যানন্দ সরকার বলেন, “সকাল ১১:৫০ নাগাদ মনুবাজার থানার পুলিশ খবর পায় যে আশিক দেবনাথ নামে একজন মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি হিংস্র হয়ে ওঠে এবং তার পাড়ার বাসিন্দাদের উপর বিনা প্ররোচনায় আক্রমণ শুরু করে। পুলিশকে জানানো হয়েছিল যে তাকে আটকানোর চেষ্টা করা একজন ব্যক্তি তাকে গুরুতর আহত করেছে। পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন আক্রমণকারী যে ব্যক্তিকে আক্রমণ করেছিল সে মারা গেছে।”

প্রথম নিহত ব্যক্তির নাম দেবেষপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি সিপিআইএম-এর যুব সংগঠন ডেমোক্র্যাটিক ইয়ুথ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (ডিওয়াইএফআই) এর সক্রিয় সদস্য। হামলাকারী আশিক দেবনাথ পুলিশ এবং ক্ষুব্ধ স্থানীয়দের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও পাথর ছুঁড়ে মারে। পরে, ঘটনাস্থল থেকে বাজারের দিকে পালিয়ে যায়। এরই মধ্যে স্থানীয়রা তাকে ধরে ফেলে। তাকে অমানবিকভাবে মারধর করা হয়, যার ফলে তার মৃত্যু হয়। বাজার এলাকায় অভিযুক্তের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। ফরেনসিক দল তদন্ত সম্পন্ন করেছে এবং মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পৌঁছানো হয়।

এসডিপিও আরও বলেন, ঘটনার সাথে সম্পর্কিত দুটি মামলা দায়ের করা হয়। পুরো ঘটনায় তিনজনের মত আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা আরও জানান, আগের রাতে আশিক দেবনাথের মাকেও মারধর করা হয়েছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুসারে, দেবেষপ্রিয় ভট্টাচার্য এবং আরও কয়েকজন আশিক দেবনাথের হিংস্র মনোভাবের কথা শুনে তার বাড়িতে যান। তারা তাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছিলেন। তবে, তারা কিছু করার আগেই আশিক দেবনাথ তাদের উপর আক্রমণ শুরু করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আশিক দেবনাথ মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল এবং প্রায়শই তাকে রাস্তায় ভবঘুরেদের মতো ঘোরাফেরা করতে দেখা যেত। সে মাদকাসক্তও ছিলে। দুটি হত্যাকাণ্ডের পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande